শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

হেলথ্ সিটিঃ চিকিৎসা খাতে স্বনির্ভরতার স্বপ্ন

প্রকাশিত : ৭:২২ অপরাহ্ন শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

 

আমার একটি স্বপ্ন আছে। আমাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সেই স্বপ্ন। একটি আধুনিক ” হেলথ্ সিটি ” তৈরির স্বপ্ন। যেখানে এদেশের আপাময় জনগণ সুচিকিৎসা পাবে। ধনী গরিব সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা থাকবে। এ দেশের মধ্যবিত্ত ও বিত্তশালীদের চিকিৎসা কিংবা নিয়মিত হেলথ্ চেকিং এর জন্য বিদেশে ছুঁটতে হবে না। ভিসার জন্য বিদেশি দূতাবাসের সামনে কাঁক ডাকা ভোরে লাইনে দাড়াতে হবে না। পোহাতে হবে না পাসপোর্ট, ডলার এনডোর্সমেন্ট,বোর্ডিং, কাস্টমস সহ অন্য কোন ঝক্কি ঝামেলা। বরং আমাদের স্বপ্নের হেলথ্ সিটি তে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিদেশীরা চিকিৎসা নিতে আসবে। প্রতি বছর এ দেশের মানুষের চিকিৎসার জন্য বিদেশে ব্যয় হওয়া কয়েক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি আমরা বিদেশি দের চিকিৎসা দিয়ে আয় করব ঢের বেশী । উন্নত স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুই অংকে পৌছাবে। কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সারাদেশের চিকিৎসা খাতের নের্তৃত্ব দিবে এই হেলথ্ সিটি। বংগবন্ধুর ” সোনার বাংলা ” গঠনে আরো একধাপ অগ্রগতি হবে। ” রূপকল্প ২০৪০ ” বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। সেই সাথে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) এর সু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ৩ নং লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

ঢাকার অদূরে কোন এক ছাঁয়া ঘেরা সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে গড়ে উঠবে এই স্বপ্নের হেলথ্ সিটি।যেখানে গড়ে উঠবে পাঁচ হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি উন্নত আধুনিক হাসপাতাল। প্রতিটি বিভাগের জন্য থাকবে পৃথক পৃথক আধুনিক ভবন। মানম্মত ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির জন্য সেখানে থাকবে একটি আধুনিক চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, নার্সি কলেজ। মেডিকেল সরঞ্জাম তৈরির জন্য একটি অত্যাধুনিক কারখানা থাকবে।

এখানে কর্মরত সকলের জন্য শ্রেণী মোতাবেক আবাসন ব্যবস্থা থাকবে। স্কুল, কলেজ, ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মার্কেট থাকবে। রোগীর স্বজনদের থাকার মানসম্মত ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা থাকবে। থাকবে একাধিক হেলি প্যাড। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী পরিকল্পিত ভাবে সবকিছু গড়ে উঠবে। ওখানকার প্রতিটি কাজে আমাদের উচ্চ রুচি ও শ্বৈল্পিক মানসিকতা ফুটে উঠবে। এই প্রকল্প হবে এ দেশের প্রতিটি মানুষের। সবাই স্বেচ্ছায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে। থাকবে না কোন ভেদাভেদ। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সবাই শতভাগ সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবে। কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি এই প্রকল্পকে স্পর্শ করবে না। সকল প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি মুক্ত ভাবে বাস্তবায়িত হবে এই স্বপ্নের প্রকল্প, যার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে শেষ অবধি।

এই হেলথ্ সিটির হাসপাতালে দেশ বিদেশের খ্যাতিমান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ দিন-রাত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করবেন। দেশের প্রশিক্ষিত মানবিক নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা হাসিমুখে আন্তরিক সেবা দিবেন। যেখানে দেশ বিদেশ হতে এম্বুল্যান্স, আই সি ইউ এম্বুল্যান্স ও এয়ার এম্বুল্যান্স এ রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসবে। ডাক্তার নার্সদের সর্বোচ্চ ও পরম সেবায় সুস্থ হয়ে রোগীরা ঘরে ফিরবেন। স্বজনরা আনন্দাশ্রু ফেলবেন। মহান আল্লাহর শুকরিয়া করবেন। আর ডাক্তার ও নার্সদের জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করবেন। সন্ধ্যার পরে সবুজের মাঝে প্রতিটি ভবনে, রাস্তায় সোডিয়াম ও নিয়ন বাতির আলো ঝলমল করবে। রং বেরং এর আলো দেখে সেখানে চিকিৎসারত রোগীসহ দর্শনার্থীদের চোঁখ জুড়াবে। রোগীরা ব্যালকনিতে বা জানালার পাশে বসে বুক ভরে শ্বাস নিবে। তাদের প্রাণ জুড়াবে, মনে প্রশান্তি আসবে। মনে নয়, রোগ শোক সব রোগীর শরীরে থাকবে। কোন পেরেশানি থাকবে না। আহ! এমন একটি পরিবেশ থাকবে যেখানে মরণেও কারো কষ্ট থাকবে না। মৃত ব্যক্তির স্বজনদের কোন আফসোস কিংবা হাহাকার থাকবে না।

দেশ বিদেশের মেধাবী চিকিৎসকরা এখানকার চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা বিষয়ে উচ্চতর লেখাপড়া ও গবেষণার সুযোগ পাবে। এটি হবে বিশ্বের মেধাবী চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষার অনন্য শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান যেকোনো স্বাস্থ্য দূর্যোগ কিংবা মহামারীতে আমাদের আলোর পথ দেখাবে। এখান থেকে তৈরি হবে নতুন নতুন ভ্যাক্সিন ও ঔষধের ফর্মুলা। দেশের গন্ডি পেড়িয়ে বিশ্বব্যাপী এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। এখানকার শিক্ষার্থীদের গবেষণা পেপার বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্ন জার্নালে ছাঁপা হবে। কেউ কেউ হয়তো চিকিৎসা সেবায় ” নোবেল পুরস্কার ” জয় করে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবেন।

স্মার্ট, অমায়িক ও মানবিক সেবক সেবিকা তৈরি ই হবে এখানকার নার্সিং কলেজ এর প্রধান উদ্দেশ্য। দেশ বিদেশে যাদের কদর থাকবে। এখান থেকে পাস করা নার্সরা দেশের গন্ডি পেড়িয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে। তাঁদের পাঠানো রেমিট্যান্স এ দেশের রিজার্ভ সমৃদ্ধ করবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম আমাদের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন হবে। অক্সিজেন সিলিন্ডার কিংবা ভেন্টিলেটর এর জন্য মানুষের হাহাকার থাকবে না। নিজেদের চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েই চলবে আমাদের হাসপাতাল গুলো। স্বনির্ভরতার গর্বে আমাদের মাথা উঁচু হবে।

প্রতিটি ভবন, রাস্তা ও কর্নারের নামকরণ হবে এ দেশের সংস্কৃতি, এতিহ্যের সাথে মিল রেখে স্বাধীনতা ও চিকিৎসার সাথে জড়িত খ্যাতিমান ব্যক্তি এবং এ দেশের নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত বা প্রাকৃতিক অন্য কোন বিষয়ে। এই কমপ্লেক্সে আরো থাকবে আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও স্বাধীনতার স্মৃতিময় নানা স্মৃতি স্তম্ভ ও টেরাকোটা। যেটা হবে একটি মিনি বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে থাকবে সর্বত্র।

শুধু স্বপ্ন নয়, স্বপ্ন বাস্তবায়নের উপায় নিয়েও ভাবতে হবে। এটি বাস্তবায়ন কিভাবে হবে? অর্থ ই বা কোথা থেকে আসবে? প্রযুক্তি বা কারিগরি জ্ঞান কি আমাদের আছে? কোথা থেকে আসবে মেধাবী চিকিৎসক ও দক্ষ স্বাস্থ্য কর্মী? ব্যবস্থাপনা কেমন হবে ? এমন নানা প্রশ্ন হয়তো অনেকের মাথায় আসবে। কারো কারো কাছে এটি পাগলের প্রলাপ মনে হতে পারে। অনেকের কাছে হয়ত অসম্ভব মনে হবে। আমি আশাবাদী। আমি বলব সম্ভব। শুরুতে নতুন কিছুতে বাধাবিঘ্ন থাকে, কিন্তু অদম্য ইচ্ছা থাকলে সফলতা আসে। এ জন্য আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা ও সদিচ্ছা ই যথেষ্ট। এটি মানুষের সাধ্যের বাইরে নয়। মানুষ যেখানে পৃথিবী ছেঁড়ে মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে চাঁদ ও মংগল গ্রহের বুকে পদচিহ্ন রেখেছে। আমরা কেন পারব না ? আসলে জেগে জেগে আমরা যে স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্ন ই আমাদের এগিয়ে নেয়। আমাদের নতুন পথ দেখায়।

তাহলে কিভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায় ? সে বিষয়ে বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ জনদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে। আলোচনা ও সমালোচনার মাধ্যমে পথ বেড়িয়ে আসবে। তবে প্রথম কাজ হলো এমন ধারণা ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করা। এটি দিনে দিনে বা রাতারাতি সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন হবে বলিষ্ঠ নের্তৃত্ব ও সুদূরপ্রসারী চিন্তা চেতনা।

যা হোক এ প্রসঙ্গে আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক প্রসূত একটি ধারণা শেয়ার করি। এ জন্য একটি ‘ দশসালা ‘ পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। এই দশসালা পরিকল্পনায় থাকবে মাস্টার প্ল্যান, সামগ্রিক কর্ম পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল। প্রথমে প্রয়োজন হবে সাইট সিলেকশন ও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ। এরপর মাস্টার প্ল্যান তৈরি ও ল্যান্ড স্কেপিং এর কাজ। অবকাঠামো উন্নয়ন। চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, দক্ষ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীসহ আনুষঙ্গিক সবকিছুর যোগান। সবকিছু ব্যবস্থাপনার জন্য সুদক্ষ ও ডেডিকেটেড মানব সম্পদ। এই সকল কাজ বাস্তবায়নের জন্য অর্থ, মেধা ও প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে।

অর্থের যোগান হলে অন্য সব চ্যালেঞ্জ উতরানো সম্ভব। তাহলে অর্থের যোগানের দিকে নজর দেয়া যাক। আমি আগেই বলেছি এই প্রকল্প হবে এদেশের প্রতিটি মানুষের। কাজেই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার এবং জনগণ উভয়ই হবে অর্থের উৎস। “হেলথ সিটি” প্রকল্পের নামে সরকারের নিয়ন্ত্রণে একটি ব্যাংক হিসাব থাকবে, যেখানে জনগণ স্বেচ্ছায় সাধ্যমত অর্থ সহায়তা প্রদান করবে। দ্বিতীয়ত, এই প্রকল্পের জন্য সকল আমদানি পণ্যের বিদ্যমান শুল্ক এবং পণ্যের (সেবা ব্যতীত) বিদ্যমান ভ্যাট হারের অতিরিক্ত সহনীয় মাত্রায় নির্দিষ্ট % নির্ধারণ করে দেওয়া, যা একটি নির্ধারিত অর্থনৈতিক কোডের মাধ্যমে প্রকল্প ফান্ডে জমা হবে। তৃতীয়ত, এই প্রকল্পের জন্য দেশের সকল করদাতা তাঁর প্রদেয় করের অতিরিক্ত হিসেবে নির্ধারিত % এ অর্থ প্রদান করবেন, যা সর্বনিম্ন পাঁচশো টাকা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে, এই সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হবে।

প্রযুক্তি ও কারিগরি বিষয়ে আমরা পিছিয়ে থাকায় এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিদেশী প্রতিষ্ঠান বা কনসোর্টিয়াম এর পরামর্শ ও সহায়তা প্রয়োজন হবে। যথাযথ প্রশিক্ষণ ও মোটিভেশন পেলে আমাদের ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মী রা দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত হবে।

এই প্রকল্পের অধীনে দেশের সকল নাগরিকদের স্মার্ট হেলথ কার্ড দেয়া যেতে পারে। উক্ত হেলথ কার্ড এ শ্রেণীবিভাগ থাকবে। পেশা ও আর্থিক সংগতির ভিত্তিতে এই শেণী বিভাজন করতে হবে। প্রত্যেক শ্রেণীর কার্ডের রং ভিন্ন হবে। সমাজের হত দরিদ্র বা মার্জিনাল মানুষ শুধু ফ্রি চিকিৎসা সেবা পাবে। বাকিরা শেণী মোতাবেক নির্ধারিত হারে চিকিৎসা খরচ প্রদান করবে। এই পদ্ধতিটা সারা দেশে সকল সরকারি হাসপাতালে চালু করা যেতে পারে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এ দেশের মানুষের আস্থা ও ভরসা স্থল। আপনি বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংগালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য উত্তরসূরী। আপনার পিতার হাত ধরে এ দেশের স্বাধীনতা এসেছে। আপনি ডিজিটাল বাংলাদেশ এর স্বপ্ন দেখিয়ে তা ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করেছেন। আমরা এর সুফল ভোগ করছি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনার বলিষ্ঠ নের্তৃত্বে মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্প, শতাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। ২০৪০ সালে উন্নত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আপনি দেখিয়েছেন, এই সকল প্রকল্পের মাধ্যমে তা অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ। আপনি এ দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অহর্নিশ কাজ করছেন। আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে দুই হাজার মার্কিন ডলার এর কাছাকাছি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ। চৌত্রিশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এর অধিক ফরেন রিজার্ভ রয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অর্থনৈতিক ইমার্জিং টাইগার। আপনার বলিষ্ঠ নের্তৃত্বে প্রিয় স্বদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল। আপনি হয়েছেন জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী। মানবতার নেত্রী। আপনার আরেকটি বলিষ্ঠ ও সাহসী উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা পেতে পারি স্বপ্নের ” হেলথ্ সিটি “। যেটি ভবিষ্যতে যেকোন স্বাস্থ্য দূর্যোগ বা মহামারী প্রতিরোধের পথ দেখাবে। এ দেশের মানুষের সু স্বাস্থ্য ও সু চিকিৎসা নিশ্চিত হবে। আপনার রাজকীয় মুকুটে আরও একটি সাফল্যের পালক যুক্ত হবে।

পরিশেষে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় বলতে চাই —

এসেছে নতুন শিশু,
তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ,
মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।
চলে যাব-
তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ।
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে
এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে
এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

# হাসানুজ্জামান মোল্যা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

আরো পড়ুন