শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

লোহাগাড়ায় আসল পুলিশের হাতে ধরা নকল পুলিশ,প্রাইভেট কার, ফাইল ও পুলিশ লিখা টিস্যুর বক্স জব্দ

প্রকাশিত : ৫:৫৭ অপরাহ্ন শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

 

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

লোহাগাড়ায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও গাড়ির চালককে মামলার ভয় দেখিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ দেখিয়ে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার লোহাগাড়া থানা পুলিশ। এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টিকারযুক্ত একটি কার গাড়ি, একটি ফাইল ও পুলিশের লগু সম্বলিত টিস্যুর বক্স জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পদুয়া তেওয়ারীহাট বাজারে ওসি মো. রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ও থানার এসআই গোলাম পারভেজ রাশেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাতকানিয়া শান্তিনগর কেওচিয়া এলাকার বাসিন্দা,বর্তমান ঠিকানা
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বহাদ্দার বাড়ী এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মোজাম্মেল হক (৩৪), তার ছোট ভাই মহি উদ্দিন (২৬) ও বহদ্দার হাট এলাকার মৃত মো. ইদ্রিসের ছেলে মো. ইলিয়াছ বাবুল (৫৪)।

খোদ্দ কেওছিয়া বোয়ানা মুড়ার বাসিন্দা সিএনজি চালক মনসুর জানান,তিনি তার গাড়ি নিয়ে যাত্রীসহ আমিরাবাদে যাচ্ছিল।হঠাৎ পদুয়ায় তাকে সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামাতে বলে, গাড়ির কাগজ-পত্র,দেখাতে বলে,আমি ভয়ে কান্না করে দিছি, বাবা আমাকে মাফ করে দিন, পরে তার পকেটে থাকা ৩ হাজার টাকা টাকা ছিনিয়ে দেয়।

তেওয়ারি হাট বাজারের ফল বিক্রেতা মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার থেকে লিচু,কাঁঠাল,আম নেয়। পরে মোট ১৪৫০ টাকার তাদের কাছ থেকে চাইলে তারা পুলিশের লোক বলে হুমকি-ধমকি প্রদান করে।

ভুক্তভোগী, শ্রমিকনেতা মো. ইসমাঈল জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনই পুলিশ পরিচয় দিয়ে পদুয়া বাজারে বিভিন্ন সাধারণ লোকজনদের ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।প্রথম থেকে আমার সন্দেহ,হয়েছিল। স্থানীয়দেরও সন্দেহ হলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন।

লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন, একটি প্রতারকচক্র লোহাগাড়ার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পরিচয় দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে উপজেলার পদুয়া তেওয়ারি হাট বাজারে সাধারণ লোকজনদের সন্দেহ হলে তাদের ধাওয়া করেন। পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।ওসি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশ নয় বলে স্বীকার করেন।তাদের কাছ থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টিকারযুক্ত একটি কার গাড়ি, একটি ফাইল ও পুলিশের লগু সম্বলিত টিস্যুর বক্স জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে ও দন্ডবিধিসহ দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরো পড়ুন