শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

মায়ের পাশেই শায়িত হল আইয়ুব বাচ্চু

প্রকাশিত : ৮:০৪ অপরাহ্ন শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,দেশবাংলা ডটনেট

চট্টগ্রামের দক্ষিণ পূর্ব মাদারবাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশেই মাটির বিছানায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু।

শনিবার (২০ অক্টোবর) বাদ আসর নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে হাজারও মুসল্লির অংশগ্রহণে চতুর্থ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন।

জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নগরের বাইশমহল্লা চৈতন্যগলি কবরস্থানে। সেখানে শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের কবরের পাশে এই গুণী শিল্পীকে দাফন করা হয়।

শেষ জানাজায় উপস্থিত ছিলেন আইয়ুব বাচ্চুর বাবা মোহাম্মদ ইছহাক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু।

এর আগে বেলা ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আইয়ুব বাচ্চুর কফিন রাখা হয় তার নানার বাড়ি নগরের পূর্ব মাদারবাড়ি বালুর মাঠে। এরপর বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তার কফিন সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানে বাদ আসর জানাজা হয়। জানাজায় হাজারও মানুষ অংশ নেয়। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দান পরিণত হয় জনসমুদ্রে। মাঠ ছাড়িয়ে পাশের সড়কেও সাধারণ মানুষ অবস্থান নেয়। আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ছাদে জড়ো হন নারী ও শিশুরা।

গত (১৮ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সকালে মাত্র ৫৬ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেয়া হয় তার গানের স্টুডিও মগবাজারে ‘এবি কিচেনে’। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর মরদেহ নেয়া হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে তৃতীয় জানাজা হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে খোলা হয়েছে শোকবই। শুক্রবার সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে এ শোকবই খোলা হয়। এরপর থেকে তার ভক্তরা লাইন ধরে শোকবইয়ে বিভিন্ন আবেগঘন মন্তব্য লিখছেন।

আরো পড়ুন