শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত : ৬:৪৬ অপরাহ্ন শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি। ভয়াল এক দিন।
বলছিলাম ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারির এক ট্রাজেডির কথা। যেদিন লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদের কৃতি সন্তান মিয়া মুহাম্মদ শাহজাহান বিন আবদুল আজিজ নির্মম ভাবে হামলার শিকার হয়েছিলেন । অল্পক্ষণের জন্য তিনি প্রানে বেঁচে গেলেন দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে। মিয়া মুহাম্মদ শাহজাহান বিন আবদুল আজিজ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছেন।
২০১৩ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বটতলী মোটর স্টেশনস্হ আরকান হোটেলের সামনে বিশেষ অতিথি হিসেবে তুখোড় ভাবে বক্তব্য রাখছিলেন মিয়া মুহাম্মদ শাহজাহান বিন আবদুল আজিজ। তার বক্তব্যে গর্জে উঠেছিল সেদিন। বক্তব্য শেষ করে তিনি দরবেশহাট শাহপীর আউলিয়া মাজারের ওরশ শরীফে অংশগ্রহণ করেন। ওই দিন রাতে শাহপীর আউলিয়া মাজার হতে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা দেন। বাড়ী ফেরার পথে আমিরাবাদ স্কুল রোডস্হ বটগাছের সামনে একদল দুষ্কৃতকারী তার পথ গতিরোধ করে তার উপর এলোপাতাড়ি মারধর করে হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুত্বর আহত হন। তার অবস্হা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত চট্টগ্রামে মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কয়েক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় তিনি সুস্হতা লাভ করেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন অল্পের জন্য তিনি প্রানে বেঁচে যান।
পরবর্তীতে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বটতলী সিটিজেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রযাত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি। সেখানে আহত অবস্হায় মিয়া শাহজাহান চিকিৎসার খবর নিয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি এবং লোহাগাড়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ তাকে দেখতে গিয়েছিলেন।
মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান বিন আবদুল আজিজ জানান, রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ ও লালন করে। রাজনীতি মানি মানুষের সেবা করা, মানুষের পাশে এগিয়ে যাওয়া। সেদিন ২৩ ফেব্রুয়ারির কথা আমার বার বার মনে পড়ে।সেদিন অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছিল। আওয়ামী যু্বলীগের একজন কর্মী হিসেবে মাহফিল শেষ করে বাড়ী ফেরার পথে আমার পথ গতিরোধ করে দুষ্কৃতকারীরা আমার উপর নির্মম ভাবে হামলা চালিয়েছিল। ভাগ্যিস মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রানে বেঁচে যায়। সকলের ভালবাসা ছিল বলেই আমি বেঁচে আছি।