প্রকাশ: ২০২০-০৪-১৩ ১৪:০৪:১৯ || আপডেট: ২০২০-০৪-১৩ ১৪:০৪:১৯
রায়হান সিকদার,লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
বয়স প্রায় ৮৩ বছর পার হলেও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা বড়হাতিয়ার হতদরিদ্র ইসমাঈলের ভাগ্যে আজো জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। এমনকি কেউ তাকে দেয়নি একটি ভিজিডি কার্ডও।যার ফলে তিনি অতি কষ্টে ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
জানা যায়, উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের আমের বাপের পাড়া ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আবদুল জলিলের পুত্র মোঃ ইসমাঈল । তার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী জন্মসাল ৫/২/১৯৩৭। বর্তমানে বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন তিনি।
বৃদ্ধ ইসমাঈলের সংসারে ৩মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে।২মেয়ে বিবাহ হলেও স্বামীর অভাব অনটনের কারণে তারাও এখন তার বাড়ীতে রয়েছে ।ছেলে সবার ছোট । একটি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে।বৃদ্ধ ইসমাঈল কোন কাজ করতে না পারায় তার স্ত্রী অন্য জনের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে কাজ করে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।অতি সংগ্রামে চলছে তার জীবন।
পরিবারকে নিয়ে এত কষ্টের মধ্যেও তিনি কোন ধরণের ত্রাণ সহায়তাও পাননি।
বয়সের ভারে সে অসুস্থতার কারণে এখন আর কোন কিছুই করতে পারছেন না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে কাকুতিমিনতি করেও মেলেনি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড। ফলে অভাব-অনটনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
বৃদ্ধ মোহাম্মদ ইসমাঈল দুঃখ করে উক্ত প্রতিনিধিকে বলেন, এলাকায় তার ১০/১৫ বছরের ছোটরা বয়স্কভাতা পায়। কিন্তু সে বয়স্ক ভাতা পাননা।অতি কষ্টে ছেলে সন্তানকে নিয়ে দিনাতিপাত করছি।
এলাকার বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা আবদুল আউয়াল জানান, বৃদ্ধ ইসমাঈল তার প্রতিবেশী। কোন অভাব অনটনের সংসার। বয়স্ক ভাতার কার্ড তার ভাগ্যে এখনো জুটেনি। দুর্যোগ সংকটময় মুহুর্তেও বৃদ্ধ ইসমাঈলের খবর কেউ রাখেনি। ছেলে সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে কঠিন জীবন পার করলে কোন জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের কাছে ত্রাণ পায়নি।
বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ চৌধুরী বলেন, বৃদ্ধ ইসমাঈলের বিষয়ে আমি জানতাম না।শীঘ্রই তার নাম বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।
লোহাগাড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার দেলোয়ার হোসেন জানান,এখনও এ রকম বয়স্ক লোক বয়স্ক ভাতার আওতায় পড়েনি আমার জানা ছিল না।কিন্তু বয়স্ক ভাতা পেতে আবেদন করলে আগামী অর্থ বছরে মোহাম্মদ ইসমাঈলের নাম তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হবে বলেও তিনি জানান।
Comments
Add Your Comment