প্রকাশ: ২০২০-০৪-২৩ ১৫:১৯:৫০ || আপডেট: ২০২০-০৪-২৩ ১৫:১৯:৫০
রায়হান সিকদারঃ
করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ধারণ করেছে। এই ভাইরাসের কারণে স্হবির হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের উত্তর কলাউজান রসুলাবাদ পাড়ার প্রায় ৫০পরিবার মানবেতর যারা দিনযাপন করছে। তারা সবাই খেটে-খাওয়া, দিনমজুর ও মধ্যবিত্ত পরিবার। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে কাজ-কর্ম বন্ধ থাকায় এই গ্রামের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ত্রাণসামগ্রী পেলেও এই গ্রামে প্রায় ৫০/৬০ পরিবারের লোকজন এখনো খাদ্যসামগ্রী পাননি বলে অভিযোগ করেছেন
রসুলবাদ পাড়ার বাসিন্দা হারেজ বলেন,তাদের গ্রামের অনেকেই রিকশা-ভ্যান চালায়,আবার কেউ কেউ দিনমজুরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তবে করোনার কারণে সামাজিক বিচ্ছিন্নতাকরণ শুরু হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে রুটি রোজগারের পথ। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা।
এলাকার অসহায় নুরুন্নাহার বেগম জানান,তিনি তার ৪সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।২দিন ধরে ঘরে চাল না থাকার কারণে রান্না ঘরে চুলায় আগুন দিতে পারেনি। তিনি আরো বলেন,প্রথম স্বামী মারা যান। ওই ঘরে ৩সন্তান রয়েছে ।২য় স্বামী দিনমজুর। তার ঘরে ১সন্তান রয়েছে। সে এখনো,জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোন ধরণের ত্রাণ সহায়তা পাননি।
স্হানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান, রসুলাবাদ পাড়ার গ্রামের মানুষ অসহায়। আমরা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে যা পেয়ে থাকি তা বিতরণ করে থাকি। তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছি। তবে, এই গ্রামের যারা ত্রাণ পায়নি শীঘ্রই তাদের ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ ওয়াহেদ বলেন, সরকারি ভাবে যা বরাদ্দ পেয়েছি তা ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তিনি আরো জানান, রসুলাবাদ গ্রামের মানুষ খুব বেশী অসহায়।কয়েকদিন পরে সরকারীভাবে নতুন করে ত্রাণ এলে ওই এলাকায় কর্মহীন মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাবার সামগ্রী প্রদানের আশ্বাস দেন।
রসুলবাদ পাড়া গ্রামের একটি অাশা ভরসা সমাজের বিত্তশালীরা ও জনপ্রতিনিধিরা করোনার দুর্যোগ সংকটময় মুহুর্তে এগিয়ে আসবেন।
Comments
Add Your Comment