বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত : ৭:১৩ অপরাহ্ন বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
দেশে দুর্গাপূজার উৎসবের মাঝে এবং পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সকল ধর্ম বর্ণের অংশগ্রহণে এক ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ৩টায় লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের আয়োজনে এ সম্প্রীতির সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু।
সমাবেশে বক্তব্যে রাখেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ,লোহাগাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরু,লোহাগাড়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুচ্ছাফা চৌধুরী, আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান মুজিব,লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম,লোহাগাড়া উপজেলা হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিবাস দাশ সাগর, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া বৌদ্ধ ভিক্ষু সমিতির সভাপতি তাপস জ্যোতি ভিক্ষু, আমিরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান এসএম ইউনুচ,চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জনু কোম্পানী, আধুনগর ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আখতার আহমদ সিকদার,ডেপুটি কমান্ডার আবদুল হামিদ বেঙ্গল, মাস্টার গোপাল কান্তি বড়ুয়া,চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ আলম,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মিয়া মুহাম্মদ শাহজাহান বিন আবদুল আজিজ,
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি সুভাষ চন্দ্র নাথ,বর্তমান সভাপতি প্রসেনজিৎ পাল, লোহাগাড়া মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল গফুর, চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আছহাব উদ্দিন।
লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম গনি সম্রাট ,উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শাহজাদা তৈয়বুল হক বেদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক এমএস মামুন, কার্যনির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ চৌধুরী,লোহাগাড়া বটতলী শহর উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন,বড়হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়ুয়া রোনা, লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবিরসহ অনেকেই।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।অসম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মেলবন্ধন জাতীয় ঐক্যের অপরিহার্য উপাদান।বাংলাদেশের জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করাকে তারা টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে। সবার অভিন্ন উচ্চারণ কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.)-এর সময় এদেশে মুসলমানদের আগমন। বিভিন্ন সময়ে সুফি সাধকরা এসে ইসলামের সুমহান শান্তির বাণী প্রচার শুরু করেছেন। তাদের অসাম্প্রদায়িক আচরণ মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় আকৃষ্ট হয়ে এ দেশের মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। এদেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ পাশাপাশি বাস করছে শত শত বছর ধরে। সেই হাজার বছরের সম্প্রীতি মতলববাজদের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় বিনষ্ট হতে পারে না।কোনো বিবেকবান মানুষ অন্য ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত আনতে পারে না। মানবতার শত্রু বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে সব পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বার্থে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র রুখতে হবে বলেও বক্তারা জানান।
সম্প্রীতির সমাবেশে মুসলিম ,হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, সকল শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দরা উপস্হিত ছিলেন।