শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
প্রকাশিত : ১২:৫০ পূর্বাহ্ন শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
রায়হান সিকদার,দেশবাংলা ডট নেটঃ
সবার মনে শুধু একটি প্রশ্ন জাগে, কবে হবে মহামারী করোনা মুক্ত আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, কখন দেখবে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের দৃশ্যগুলো। আর কখন ফুটবে সবার মুখে হাসি।কখন সেরে যাবে এই মহামারী করোনা ভাইরাস! তবে আমাদের একটি আশা একটি ভরসা আমরাই এই মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে একদিন মুক্ত পাবই ইনশাল্লাহ। সমাজে এমন কিছু মানুষ জন্মায় যারা মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেয় আত্নমানবতার সেবায়। ঠিক তেমনি সমাজে করোনা দুর্যোগ সংকটময় মুহুর্তে হাসি ফুটাতে গরিব দুঃখী খেটে খাওয়া মানুষের মুখে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে তাদেরই মধ্যে একজন মানবতার মহানায়ক সমাজকর্মী মুহাম্মদ আরমান বাবু রোমেল।
তিনি লোহাগাড়ায় করোনা যুদ্ধের অকুতোভয় যোদ্ধা হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
করোনাকালেও উপজেলার কোন অসুস্থ রোগী যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় এজন্য তাঁর প্রতিষ্টিত লোহাগাড়া ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে সবধরণের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা অর্থাভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের জন্য করোনাকালে ‘ভ্রাম্যমান ফ্রি চিকিৎসাসেবা’ দিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে যা সর্বমহলে খুবই প্রশংসিত হয়েছে।
এছাড়া দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু থেকে ‘লোহাগাড়ার কোন প্রতিবন্ধী অভুক্ত থাকবে না’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের শারিরীক প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে আসছেন। যা করোনার প্রাদুর্ভাব থাকা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া গত ২১ মার্চ লোহাগাড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় গুরতর আহত সাইফুল ইসলাম দীর্ঘ এক মাস চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকেও অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু ২১ এপ্রিল বাড়ি নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর তার অবস্থা অবনতির দিকে যাওয়ায় স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। তাকে উপজেলা সদরের কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে গ্রহণ করেনি কেউ। পরে লোহাগাড়া ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্টাতা সমাজকর্মী আরমান বাবু রোমেলকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করেন। আল্লাহর রহমত ও চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ এক মাস পর সাইফুল ইসলাম সুস্থ হয়ে নিজ পায়ে হেঁটে বাড়িতে চলে যান।
লোহাগাড়া ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কলাউজনের বাসিন্দা জনৈক নেজাম উদ্দিন জানান, প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা সদরের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসেবা নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। খবর পেয়ে ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছি। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
পুটিবিলা ইউনিয়নের গৌড়স্থান এলাকার শারিরীক প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ হোসেন জানান, সমাজকর্মী আরমান বাবু রোমেল প্রতিবন্ধীদের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের সুখে-দু:খে তিনি সবসময় পাশে থাকেন। তাঁর মাধ্যমের উপজেলা উপজেলার প্রতিটি শারিরীক প্রতিবন্ধী উপকৃত হয়েছেন। হচ্ছেন। মোট কথা উপজেলার সকল শারিরীক প্রতিবন্ধীদের অভিভাবক সমাজকর্মী আরমান বাবু রোমেল।
লোহাগাড়া ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনুদ্রিতি কর জানান, হাসপাতালের প্রতিষ্টিতা সমাজকর্মী আরমান বাবু রোমেলের নির্দেশনায় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স-ব্রাদার ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা করোনাকালেও আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কোন রোগী যেন বিনা চিকিৎসায় ফেরত না যায় হাসপাতালের প্রতিষ্টাতা সেই নির্দেশনা দিয়েছেন সবাইকে।
লোহাগাড়া ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্টাতা সমাজকর্মী আরমান বাবু রোমেল জানান, করোনাকালেও উপজেলার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তিনি সবধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সবধরণের রোগী যেন হাসপাতালে এসে চিকিৎসাসেবা পান এ ব্যাপারে ডাক্তার-নার্সদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। করোনাকালে রোগীদের করুণ অবস্থা দেখে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও করোনাকালে প্রতিবন্ধীদের পাশে আছেন ও থাকবেন বলে জানান তিনি। করোনা যুদ্ধে আমরা ইনশাল্লাহ জয়ী হবো।