প্রকাশ: ২০২০-০৪-১১ ২২:২৮:১৮ || আপডেট: ২০২০-০৪-১২ ০০:১৪:৫৬
শহীদুল ইসলাম বাবর,দেশবাংলা.নেট
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এক বৃদ্ধ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে তার মৃত্যু হওয়ার পর নমুনা সংগ্রহে পরীক্ষা করলে শনিবার বিকালে তার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মুত্যৃর তথ্য আসে। এরিমধ্যে শুক্রবার সকালে সামাজিক ভাবেই তার দাফন হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বৃদ্ধের ছেলে আমিনুল ইসলাম। এদিকে করোনা পজিটিভ আসার সাথে সাথে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃদ্ধের ঘরসহ তার লাশ দাফনে থাকা সংশ্লিষ্টদের বসত ঘর অন্যান্যা প্রতিষ্ঠান লকডাউন করার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন। সর্বশেষ পাওয়া সংবাদে পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ৩শ ৪২ পরিবারের লকডাউনে রাখা হয়েছ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ আলম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মারা যাওয়া বৃদ্ধের ছেলে আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা বুধবার শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার চট্টগ্রামস্থ জেনারেল হসপিটালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা ভর্তি না দিয়ে বাড়িতে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শে বাড়িতে আনার পর বৃহস্পতিবার বেশি মুর্মুর্ষ হয়ে গেলে রাত আনুমানিক ১০টার সময় প্রথমে কেরানীহাটস্থ আশ-শেফা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার বাবাকে চেক-আপ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরী বিভাগে নেওয়ার পর ইসিজি করে করে তাকে মৃত ঘোষনা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এরপর ডাক্তাররা আমাদের কাছ থেকে আবার বাবার রোগের বিবরণ শুনে আমার বাবার করোনা সন্দেহ হলে তারা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। এর পর আমার বাবাকে গ্রামে নিয়ে এসে শুক্রবার সকাল দশটার সময় সামাজিক ভাবে নামাজে জানাযার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরি মধ্যে আজ (শনিবার) বিকালে জানতে পারলাম আমার বাবা করোনা আক্রান্ত ছিল।করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের বাড়ি পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়েনের ইছামতি আলিনগর গ্রামে। এবিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-এ আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমরা রাতে মৃত বৃদ্ধের বাড়িতে এসেছি। বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে।
স্বজনদের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে বৃদ্ধের সংর্স্পশে যাওয়া লোকজনের বসত ঘর সমূহ লকডাউন করব। তবে কয়টি ঘর লকডাউন হবে এখনো বলা যাচ্ছেনা। এদিকে রোগীটিকে কেরানীহাটের আশ-শেফা হাসপাতালে নেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আতংক তৈরী হয় সবখানে।
Comments
Add Your Comment