মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
প্রকাশিত : ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পদুয়া রেঞ্জের আওতাধীন বাজালিয়া বড়দুয়ারা বিট কাম স্টেশনের মাহালিয়া এলাকায় পুরানগড় মৌজায় বনবিভাগের জায়গা রক্ষণাবেক্ষণ করতে গিয়ে লেবারের মাঝির উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় বড়দুয়ারা কাম স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে পুরানগড় ইউনিয়নের দক্ষিণ মনেয়াবাদ এলাকার মৃত মুন্সি মিয়ার পুত্র তৌহিদ খান ও এনামকে বিবাদী করে সাতকানিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পুরানগড় মৌজার
আরএস ৩৩৩১ বনবিভাগের গেজেট ভুক্ত রক্ষিত ভূমিতে ২০১৯-২০ সনে সৃজিত এফজিএস বাগানের লেবারের মাঝি মৃত ইয়াকুব আলীর পুত্র ফরিদুল আলম বনবিভাগের জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে রক্ষনাবেক্ষণ করে আসছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে উল্লেখিত বিবাদীগণ উক্ত সরকারী জায়গাটি জবর-দখলের পায়তারা চালাচ্ছিল। এমনকি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মাঝিকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। ১২ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে তৌহিদ ও এনামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে গাছের লাটি ও বাটাম দিয়ে সরকারী জায়গায় অনধিকার প্রবেশ করে উক্ত জায়গা থেকে লেবারের মাঝিকে বের করে দেয়। মাঝি তাতে প্রতিবাদ করলে উল্লেখিত বিবাদী বাটাম ও লাটিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে।
জায়গায় লেবারের মাঝি ফরিদুল আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগের জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিলে সঠিক ভাবে কাজ করি। কিন্তু তৌহিদ ও এনামের নেতৃত্বে একটি দল অতর্কিতভাবে বনবিভাগের জায়গায় প্রবেশ করে দখল করার চেষ্ঠা করলে আমি বাঁধা প্রদান করলে আমাকে তারা লাটিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
বড়দুয়ারা কাম স্টেশন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম জানান, পুরানগড় মৌজার বনবিভাগের জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লেবারের মাঝি হিসেবে ফরিদুল আলমকে দায়িত্ব দিই। সেখানে আমরা গাছের চারা রুপন করলে জায়গাটি বনবিভাগের দখলে স্হিত রয়েছি। অতর্কিতভাবে এনাম ও তৌহিদ আমাদের বনবিভাগের জায়গায় প্রবেশ করে লেবার মাঝিকে মারধর করে জবর-দখলের চেষ্ঠা চালায়। আমি খবর পেয়ে সেখান থেকে লেবার মাঝিকে আহত অবস্হায় উদ্ধার করে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার এসআই মোল্লা জাহাঙ্গীর কবির জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। বিষয়টি পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
অন্যদিকে, অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।