মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

পুটিবিলায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক পরিবারের তিনজন আহত, থানায় মামলা দায়ের

প্রকাশিত : ১১:০১ অপরাহ্ন মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

 

লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকায় জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের তিনজন যথাক্রমে মা, ছেলে ও মেয়ে গুরুত্বর আহত হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।

আহতরা হল নুর হোসেন , মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও রুমানা আকতার।

১১ আগস্ট ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুটিবিলা নয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ঘটনায় আহত নুর হোসেনের পুত্র মুুহাম্মদ আলমগীর(২৬) বাদি হয়ে ওই এলাকার আলী হোসেন,মিজানুর রহমান,শাহাব উদ্দিন, আমাউল্লাহসহ ৬জন অাসামী ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২জনকে আসামী করে লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়েন করেন।যাহার মামলা নং ১৫, ১১/০৮/২০২১ইং।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, উল্লেখিত বিবাদীগণের সাথে বাদিদ্বয়ের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-সম্পত্তির নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। উল্লেখিত সময়ে উল্লেখিত আসামীরা নুর হোসেনের ঘরে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে তাকে বিবাদীগণ এলোপাতাড়ি লোহার রড়,বাটাম দিয়ে মারধর করতে থাকে। তাকে উদ্ধার করতে তার ছেলে জাহাঙ্গীর ও তার মেয়ে রোমানা আকতার এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্ষাক্ত জখম করে।
স্হানীয়রা তাহেরকে আহত অবস্হায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চমেকে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা আশংকাজনক বলেও এজাহারে উল্লেখ।

এ ব্যাপারে মুুহাম্মদ আলমগীর জানান, আমি চট্টগ্রাম শহরে চাকরী করি। বিবাদীগণের সাথে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আমার একটি ঘর প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন ধরে দখল করার চেষ্ঠা করে আসছিল। গত ১১আগস্ট ভোরে আমাদের ঘরে প্রতিপক্ষরা প্রবেশ করে আমার বাবা, আমার ভাই ও বোনকে লোহার রড় ও লাটিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্ষাক্ত জখম করে।তিনি সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের কাছে দ্রুতভাবে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মুহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম জানান, জায়গা-জমির বিরোধ কে কেন্দ্র করে পিতা, ছেলে ও মেয়েকে মারধরের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্ত করার জন্য ওসি স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমি ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছি। আসামীদের শীঘ্রই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও তিনি জানান।

অন্যদিকে,অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন