মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
প্রকাশিত : ১০:০৯ পূর্বাহ্ন মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের বাংলাবাজার মিয়াজী পাড়া এলাকায় এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৫টায় গৃহবধুর নিজ বসতঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন স্বজনেরা।
নিহতের নাম মিনু আরা বেগম(২৫)।ঘটনার পরপরই নিহতের স্বামী আব্দুল জব্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। সে ওই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
নিহত গৃহবধু মিনু পার্বত্য বান্দরবান জেলার লামার সরই হাসনাভিটা নাইচ্যার ঝিরি পাড়া ১নং ওয়ার্ড এলাকার আবুল হাসেমের মেয়ে।
ঘটনার খবর পেয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশের এসআই পার্থ সারথী হাওলাদার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে লাশ উদ্ধা করে থানায় নিয়ে আসেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। ঘটনার দিন বাড়ির সবার অগোচরে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারোর লোকজন তাকে ঝুলন্তবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
স্হানীয়রা কেউ কেউ এটা আত্মহত্যা, আবার কেউ বলছে খুন। তবে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামী পালিয়ে যাওয়ায় রহস্য জনক মনে করছেন স্থানীয়রা।
নিহত মিনুর মা নুরুন্নিছা বেগম জানান, তার মেয়েকে হত্যা করেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়। আমি এ হত্যা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আশায় আছি।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: শাকিলা আক্তার বলেন, মিনু নামের এক মহিলার লাশ তার স্বামী হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিষয়টি পুলিশক জানালে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল শেষ করে লাশ নিয়ে যায়।
কলাউজান ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বকুল আক্তার জানান, নিহত গৃহবধু মিনুর পরকীয়া ছিল। এনিয়ে স্বামীর সাথে মনমালিন্য হওয়ায় ২/৩ মাস আগে বাপের বাড়ি ছিল গৃহবধু। বিচারের মাধ্যমে দেড় মাস আগে চলে আসে মিনু। ঘটনার দিন বাড়ির ছাদের বীমের সাথে রশি লাগিয়ে গলায় প্যাছিয়ে আত্মহত্যা করে মিনু। তাকে আহতবস্থায় পপরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই মারা যান সে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া রহমান জিকু বলেন, গৃহবধুর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের ব্যবস্থা চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা যাবে। তবে নিহত গৃহবধুর স্বামীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনেরও প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
নিহত গৃহবধু মিনু আরা বেগম ৪ বছরের এক পুত্র সন্তানের জননী বলে জানা যায়।