মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

কলাউজানে ভারী বর্ষণে ধ্বসে গেছে বাক-প্রতিবন্ধি ২পরিবারের বসতঘর, মানবেতর জীবন

প্রকাশিত : ১০:১৬ পূর্বাহ্ন মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

 

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ২ অসহায় পরিবারের বসতঘর ভারী বর্ষণের কারণে ধ্বসে গেছে।বসতঘর ধ্বসে যাওয়ার কারণে বর্তমানে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্হ নাথ পাড়ার বাসিন্দা অম্মিখা চরণ নাথের পুত্র রুপন নাথ এবং শ্রীধাম নাথের স্ত্রী শান্তি বালা নাথ। রুপন দাশ একজন বাক প্রতিবন্ধি। তার ঘরে স্ত্রী, ১মেয়ে ও ১ছেলে রয়েছে। স্বামী বাক প্রতিবন্ধির কারণে স্ত্রী পরের ঘরে কাজ করে অতি কষ্ঠে সংসার চালাচ্ছেন। তার বড় মেয়ে সনি দেবী কলাউজান ডাঃ এয়াকুব বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনীতে পড়ে, একমাত্র ছেলে রেনি নাথ কলাউজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করে।

অন্যদিকে,শ্রীধাম নাথের স্ত্রী শান্তিবালা নাথ। তার সংসারে ৪মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে। ৪মেয়ের মধ্যে তিন মেয়ে বেবি, মেরী, মিনু বালা নাথ বাক প্রতিবন্ধি। তারা কেউ কথা বলতে পারেনা। জন্মগত বোবা। এক মেয়েকে কষ্ট করে বিয়ে দিলেও স্বামী তাকে পেলে চলে গেছে। তার একমাত্র ছেলে বাসু নাথকে পড়াশুনা করাতে না পারায় শ্রমিকের কাজ করে।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে বসতঘরের দেওয়াল ধ্বসে পড়ে গেছে। তাদের বসতঘর ধ্বসে পড়ার কারণে মানবেতর জীবন -যাপন করছেন ২পরিবারের সদসরা।

বাক প্রতিবন্ধি রুপন নাথের স্ত্রী সাগর দেবী কান্নাজনিত কন্ঠে জানান, আমার স্বামী কথা বলতে পারেনা। আমার ১ছেলে ১মেয়ে রয়েছে। পরের ঘরে যতক্ষণ কাজ করি,সংসারে চুলায় ততক্ষণ আগুন জ্বলে। নুন আনতে পানতা পুরায়। কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে আমাদের বসতঘরটি দেওয়াল ধ্বসে পড়ে ভেঙ্গে গেছে। সরকার ঘর দিচ্ছে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতামীয় মায়ের কাছে তিনি একটা ঘর ভিক্ষা চাইলেন।

অপরদিকে, শ্রীধাম নাথের স্ত্রী শান্তিবালা নাথ জানান, আমার সংসারে ৪মেয়ে ১ছেলে। তিন মেয়ে বাক প্রতিবন্ধি। অতি কষ্টে সংসারে চালাতে হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আমাদের ঘরটি ধ্বসে পড়ে গেছে। আমরা অনেক বেশী অসহায় । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি ঘর করে দিলে আমরা অনেক বেশী উপকৃত হবো

 

খবর পেয়ে ধ্বসে পড়া অসহায় পরিবারের বসতঘর পরিদর্শন করেছেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) মুহাম্মদ মাহবুব আলম শাওন ভুঁইয়া।

ইউএনও আহসান হাবীব জিতু ধ্বসে পড়া ঘর পরিদর্শন করে জানান, ২পরিবারের সদস্যরা সত্যিই অনেক বেশী অসহায়। আমরা তাদেরকে ঘর দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয়কে অবহিত করব। প্রাথমিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু`পরিবারকে ২০হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আরো পড়ুন