মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
প্রকাশিত : ১০:১৭ পূর্বাহ্ন মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার শারমিন আকতারের উপর চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ ও ছিনতাইকারী কর্তৃক হামলা এবং রাতের অন্ধকারে বসতঘর ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মহিলা মেম্বার শারমিন আকতার ও তার পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১৩জুলাই) দুপুরে লোহাগাড়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপির মহিলা সদস্য শারমিন আকতার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি সাধারণ ঘরের মেয়ে। তাঁর পিতার নাম মোঃ শফি এবং স্বামীর নাম রহমত উল্লাহ। ইউনিয়নের মল্লিক হোবহান হাজীর পাড়ায় তাঁর বাড়ি। স্বামী বর্তমানে মালয়েশিয়া প্রবাসী। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি দরিদ্র পরিবারের কন্যা হওয়ায় পরশ্রীকাতরতার রোষানলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ ও ছিনতাইকারী কর্তৃক বার বার নির্যাতিত এবং নানা ধরণের ভয়ভীতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত ৯ জুলাই রাত আনুমাণিক সাড়ে ১১ টায় এলাকার সন্ত্রাসীরা তাঁর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে।তাঁর ভাই শাহজাহান এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাঁকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে এবং তাঁর ম্লীনতাহানি ঘটায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ঘটনার পরদিন ১০ জুলাই ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতানামা ১০/১৫ জনের কথা উল্লেখ করে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত থানার এস.আই.ভক্ত দত্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। কিন্তু এখনো কোন মামলা রেকর্ড হয়নি বলে তিনি জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
বর্তমানে তিনি, তাঁর ভাই শাহাজাহান ও অন্য স্বজনেরা নিরাপত্তাহীনতায় কালযাপন করছেন। তাই তিনি এ’ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
মহিলা মেম্বার শারমিন আক্তার তাঁর বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ডপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে জীবনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্বজন বেবী আক্তার (২৮),রীনা আক্তার(৩২), কহিনুর আক্তার (৩৫),খুরশিদা আক্তার (৫০), নুরবানু(৬০) সহ অনেকেই।