মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত : ১:০৮ পূর্বাহ্ন মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ছকিনা আকতার।তার স্বামীর নাম মৃত মোবারক। তার বাড়ী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর পাড়া এলাকায়।বিগত। ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই তার স্বামী ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়,বিধবা ছকিনা বেগমের ২ ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রথম সস্তান আবদুল্লাহ নাবিল(১০) সে এলাকায় একটি হেফজখানায় হেফজ বিভাগে পড়েন। ছোট ছেলে ইসমাঈল হোসেন ইসমাম(৬)। সে শিশু শ্রেনীতে পড়ে। ছকিনা আকতারের স্বামী মোবারক আলী মারা যাওয়ার পর অতি কষ্ঠে ছেলে সন্তানদের নিয়ে দিনাতিপাত করছে। মাটির একটি বাড়ী ছিল। ভারী বর্ষণে তার স্বামীর বাড়ীতাও ধ্বসে পড়ে গেছে। তার সহায় সম্বল বলতে কিছু নেই। বাড়ীটা ধ্বসে পড়ে যাওয়ার পর থেকেই অন্যজনের বাড়ীতে ছেলে সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছে বিধবা ছকিনা আকতার।
স্হানীয় এলাকার বাসিন্দা মোরশেদ জানান, ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ছকিনা বেগমের স্বামী মারা যান। ছেলে সন্তানকে নিয়ে অন্যের ঘরে বসবাস করে। তার বাড়ীটাও ধ্বসে পড়ে গেছে।
বিধবা ছকিনা বেগম জানান, আমি অনেক বেশী অসহায়। অতি কষ্ঠে ২ ছেলে সন্তানকে নিয়ে দিনাতিপাত করছি। আমার কোন সহায় সম্বল নেই। বসবাসের একমাত্র মাটির বাড়ীটা ভারী বর্ষণে ধ্বসে পড়ে গেছে। আমি ছেলে সন্তানদেরকে নিয়ে বসবাস করতে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছি। শুনলাম সরকার সবাইকে ঘর দিচ্ছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি ঘর পেলে অনেক বেশী উপকৃত হতাম। ছেলে সন্তানদের নিয়ে একটু স্বস্তি পেতাম।
চুনতি ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ জয়নুল আবেদীন জনু কোম্পানী জানান, ছকিনা বেগমের অসহায়ত্বের বিষয় আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাকে একটি ঘর করে দিতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোঃ আহসান হাবীব জিতু জানান, ছকিনা বেগমের অসহায়ত্বের জীবন-যাপন সংক্রান্তে আপনার মাধ্যমে জেনেছি। সে ঘরের জন্য জন্য আবেদন করলে তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।