সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

অর্ধকোটি টাকা আত্নসাৎ,সাতকানিয়ার যুবক আত্মগোপনে

প্রকাশিত : ১:০১ অপরাহ্ন সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ পরবর্তী আত্মগোপনে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইমরান হাসান (৩৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা যায় বেশ কিছু লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন দাগে মোট ৪৮,৭৩,৯৬২/- ( আট চল্লিশ লক্ষ তিয়াত্তর হাজার নয়শত বাষট্টি) টাকা আত্মসাৎ পরবর্তী সময়ে আত্মগোপনে চলে গেছে এই ব্যক্তি। এ বিষয়ে মোঃ ইলিয়াছ (৩৮) নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ইমরান হাসানকে ১নং বিবাদী করে মোট চারজনকে বিবাদী করে সাতকানিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে মোঃ ইলিয়াছ বলেন, সে একজন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী এবং বর্তমানে সাতকানিয়া পৌরসভায় আলফা হাসপাতালের নিছে এ সংশ্লিষ্ট তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। ১নং বিবাদীর সঙ্গে তার ২বছর পূর্বে সম্পর্ক স্থাপন হয়। পরবর্তী ১বছরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। উপরোক্ত ১নং বিবাদী গত ১বছর যাবত তার দোকান থেকে বিভিন্ন সময় বিকাশ নগদ রকেটের মাধ্যমে লেনদেন করে, যার পরিমান ২৫০,০০,০০০/- (দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা। তবে বিভিন্ন সময়ে টাকা পরিশোধ করে ১নং বিবাদী। কিন্তু পাওনা যখন ১০,০২,৯০০/- (দশ লক্ষ দুই হাজার নয়শত) টাকায় এসে দাড়ায় তখন থেকে সে বিভিন্ন সময় টাকা দিবে বলে টাকা না দিয়ে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে তাদের কাছ থেকে জানা যায় সে ছাড়া আরো অনেকের কাছ থেকে বিবাদী বিভিন্নভাবে টাকা নিয়েছে। বর্তমানে তার পাওনা সহ আরো ১২জন ব্যক্তি বিবাদীর নিকট টাকা পাওনা আছে, যার পরিমান ৪৮,৭৩,৯৬২/- ( আট চল্লিশ লক্ষ তিয়াত্তর হাজার নয়শত বাষট্টি) টাকা।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, বাকী পাওনাদার সহ গত ৩১/০৫/২০২১ ইং তারিখ সাতকানিয়া পৌরসভাস্থ ১নং ওয়ার্ডের ঘাটিয়াপাড়ায় অবস্থিত মদিনা টাওয়ারে তার ভাড়া বাসায় গেলে দেখা যায় দরজায় তালা লাগানো। পরবর্তী বাড়ীর মালিকের কাছ থেকে জানা যায় সে বাড়ী থেকে চলে গেছে।

অভিযোগে উল্লেখ, বিবাদীদের ৬টি মোবাইল নাম্বারে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলে প্রথম চারটি মোবাইল নাম্বারে সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরবর্তী দুইটি নাম্বারে সংযোগ পাওয়া গেলেও তাদের ঠিকানা পাওয়া গেছে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নে। তাদের বক্তব্য, ভুল করে হয়তো অভিযোগে তাদের নাম্বার তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা এই বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।
তবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে কয়েকজন পাওনাদেরকে ফোন করা হলে সামি আল জাওয়াদ ও এস এম সাকিল বলেন, আমরা বিকাশ কোম্পানীতে চাকুরি করি। এক লক্ষ টাকা বিকাশ লেনদেন করলে আমরা ৪৫০/- (চারশত পঞ্চাশ) টাকা কমিশন পাই। তার সাথে সম্পর্কের জেরে লেনদেন করছি। তবে জানতামনা তার আরো ব্যাপক লেনদেন রয়েছে। আমরা ১৩ জন ছাড়া আরো অনেকেই রয়েছে যারা টাকার আশা ছেড়ে দিয়েছে। সে মানুষের কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সাদ্দাম হোসাইন নামে একজন বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার উদ্দেশ্যে লেনদেন করেছি। তবে তার যে ব্যাপক লেনদেন রয়েছে তা জানতে পারি তার মোবাইল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর। এখন বুঝতে পারছি সে একজন বড় প্রতারক।

অভিযোগের বিষয়ে সাতকানিয়া থানায় কর্মরত পুলিশ অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তদন্তপুর্বক বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ০৭/০৬/২০২১ ইং তারিখে মোঃ ইলিয়াছ বাদী হয়ে ইমরান হাসান সহ ৪জনকে বিবাদী করে এবং আরো ১২জনের সংশ্লিষ্টতা এনে সাতকানিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। যেখানে বিবাদীর কাছ থেকে ১৩ জন ব্যক্তি মিলে মোট ৪৮,৭৩,৯৬২/- ( আট চল্লিশ লক্ষ তিয়াত্তর হাজার নয়শত বাষট্টি) টাকা পাবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়া।

আরো পড়ুন