বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
প্রকাশিত : ১২:০০ পূর্বাহ্ন বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
রায়হান সিকদার,লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
শিখা রাণী বড়ুয়া।বয়স ৫২ বছর। তার স্বামী মৃত অভিনাস বড়ুয়া। তার চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ৫নং ওয়ার্ডের কেমেলিয়া পাড়ায়। তার স্বামী অভিনাস বড়ুয়া বিগত ৬ বছর পুর্বে স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান সবুজ বড়ুয়াকে মারা যান।
শিখা রাণী বড়ুয়া এর পর থেকে বিধবা। ছেলেকে পড়ালেখা করার সুযোগ থাকলে অভাব অনটন ও দারিদ্রতার কারণে পড়ালেখা করাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, বিধবা শিখা রাণীর একমাত্র ছেলে সবুজ বড়ুয়া থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। এলাকাবাসী কয়েকবার আর্থিকভাবে সহযোগীতা করে তার সন্তানকে রক্ত দান করেছিল। শিখা রাণী এখন অন্যের ঘরে কাজ করে সংসার চালায়। তা না হলে সে খাবে কি? কিছু অন্ন জোগাতে পরের ঘরে কাজ করে । তাতেই অনেক কষ্ঠ হয়ে যায় তার। তার ঝুঁপড়ি ঘরটা ছাড়া কোন ভিটেবাড়ি নেই। স্বামী মারা যাওয়ার পুর্বে তার অসুস্হতার জন্য কিছু জমি বিক্রি করে দেয়। এখন একমাত্র তার সম্বল ঝুঁপড়ি বাড়ীটি। সেখানেও তিনি অনেক কষ্টে আছেন। বৃষ্টি হলে তার ঘরে টিনের ছিদ্রের কারণে ঘর ভিজে যায়। আর ঘুমানোর সুযোগ হয়না।
বিধবা শিখা রাণী বড়ুয়া জানান, শেখের বেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় পরিবারকে ঘর দিচ্ছেন। আমিও বিধবা।আমি অসহায়। কোন জমিজমা নেই।বিগত ৬ বছর পুর্বে স্বামীকে হারিয়েছি। একটি ঝুঁপড়ি ঘরে থাকতে অনেক কষ্ট হয়। একমাত্র ছেলেও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। পরের ঘরে কাজ করে সংসার চালাতে হয় । আমাকে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার স্বরুপ একটি ঘর উপহার দিলে অন্তত আমার কিছুটা কষ্ট দূর হবে। ছেলে সন্তানকে নিয়ে একটি স্বস্তি পাবেন বলেও তিনি জানান।
এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা মাস্টার সলিল কান্তি বড়ুয়া জানান, সরকার বিভিন্ন জায়গায় ঘর দিচ্ছেন। আমাদের এলাকায় শিখা রানী বড়ুয়া বিধবা অনেক বেশী অসহায়। বৃষ্টি হলে ঝুঁপড়ি বাড়ীতে ঘুমাতে অনেক কষ্ট হয়। ঘরের টিনগুলো একদম ছিদ্র আকারে ধারণ করেছে। তিনি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোঃ আহসান হাবীব জিতু জানান, বিধবা শিখা বড়ুয়ার ঝুঁপড়ি ঘরে অতি কষ্টে বসবাস সেটা আপনার মাধ্যমে জেনেছি। বিধবা মহিলা ঘরের জন্য আবেদন করলে তাকে ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।