সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত : ১১:১৭ পূর্বাহ্ন সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ডেলিয়া পাড়া মসজিদের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে আদালতের দুতরফাসুত্রে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র জাফর আহমদ ও তাঁর ছেলে কাউছারের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দু রহমান প্রকাশ বাবুল গং বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় স্থানীয় জাফর আহমদের নাম উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাত নামা করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে থানার এএসআই মহিউদ্দিন ও এএসআই শ্যামল চন্দ্র ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিগত ২০০২ সালের ২২অক্টোবর মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র জাফর আহমদ তথা ১নং বিবাদী ডেলিয়া পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বরাবর তফসিলোক্ত জমি নিজ প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বার্ষিক ১৮০০টাকা লাগিয়ত ধার্য্যক্রমে চুক্তিনামা সম্পাদনের মাধ্যমে উত্ত জমি মসজিদ হতে গ্রহণ করেন। চিত্তনামার শর্ত মতে মসজিদের প্রয়োজনে ১নং বিবাদী তফসিলোক্ত জমি যেকোনো সময় ত্যাগ করবেন মর্মে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তফসিলোক্ত সম্পত্তি’র পি.এস ও বি.এস খতিয়ান তাদের অনুকূলে হওয়া উল্লেখ করে তফসিলোক্ত সম্পত্তি নিজেদের বলে দাবী করেন। ১নং বিবাদী এবং তাহার অন্যন্য শরিকদারগণ মসজিদের জায়গা দখলের পায়তারা করেন।
তাঁরা মসজিদের সম্পত্তি দখলের পায়তারা করিলে বিগত ২০০৬ সালে ১নং বিবাদীর বিরুদ্ধে মাননীয় লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালত সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম, বরারব ১০নং অপর/২০০৬ নং মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার ১নং বিবাদী জাফর আহমদের বিরুদ্ধে মাননীয় লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালতে ২০০৬ সালের জানুয়ারী ১৬ তারিখে নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করিলে মাননীয় হুজুর আদালত ১নং বিবাদীর কারণ দর্শাণোর নোটিশ প্রেরণ করেন।
১নং বিবাদী মাননীয় হুজুর আদালতের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রাপ্ত হইয়া মাননীয় আদালতে হাজির হইয়া অপর ১০/ ২০০৬ ইং মামলার বাদীগণের নিষেধাজ্ঞা দরখাস্তের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করেন। মাননীয় হুজুর আদালত জনাব আবু আহসান হাবিব (সিনিয়র সহকারী জজ, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম) বাদী ও বিবাদীগণের কাগজপত্র পর্যালোচনা করিয়া ও বাদী বিবাদীগণের বক্তব্য শ্রবণ করিয়া ২০০৬সালের ১৩মার্চ ১৪নং আদেশের মর্মমতে আদেশ হয় যে অত্র অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত দুতরফাসুত্রে বিনা খরচায় মন্জুর হইল। এই মোকদ্দমা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দরখাস্তের তাফশীল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তির রুপ পরিবর্তন না করা এবং উক্ত সম্পত্তিতে কোনরূপ কাঠামো ষ্ট্রাকচার নির্মাণ না করার জন্য ১নং বিবাদীকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ ধারা বাতিল করা হয়। কিন্তু জাফরের পুত্র কাউছার মসজিদের জায়গায় জোরপুর্বক কাজ করার পায়তারা করলে পুলিশি হস্তক্ষেপে কাজ করে দেওয়া হয়।
স্হানীয় এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, উক্ত জায়গাটি আমাদের মসজিদের নামে।আমরা এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি, বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে। আদালতে মামলা চলমান অবস্হায় জোরপূর্বক মসজিদের জায়গায় জাফর ও তার পুত্র কাউসার ঘর নির্মাণ করার চেষ্ঠা চালায়। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, এ বিষয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে থানার এএসআই মহি উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। উক্ত জায়গায় আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
অপরদিকে,অভিযুক্ত কাউসার জানান, তিন বছর পুর্বে উক্ত জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছি।তখন ঘর করার সময় কোন বাঁধা পায়নি। তবে, উক্ত জায়গাটি আমাদের বলেও তিনি দাবী করেন।