বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ৬:০২ অপরাহ্ন বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫
শহীদুল ইসলাম বাবর,দেশবাংলা.নেট
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবাযদুল কাদের এমপি সড়ক পথে চট্টগ্রাম-ক´বাজার মহাসড়ক হয়ে কক্সবাজারে যাবেন এমন খবরে টনক নড়েছে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের। দীর্ঘ দিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া লোহাগাড়া অংশের প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কে ব্যাপক খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে আসছিল। এ নিয়ে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। সবিশেষ ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে রওয়ানা হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার। আর এতেই নড়েচড়ে বসে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তারা অনেকটা তাড়াহুড়া করে এ সড়কে সৃষ্টি খানাখন্দক ভরাটের কাজ শুরু করে। বিষয়টি রাজনীতিবীদ থেকে শুরু করে নজর কাড়ে সাধারণ মানুষের। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, মন্ত্রী আসার খবরে নয়, নিয়মিত সংস্কার কাজের অংশ হিসেবেই সংস্কার কজি চলছে।
অনেকটা তাড়াহুড়া করে সংস্কার কাজ করার দৃশ্য দেখে কেরানীহাট এলাকার পরিবহণ মালিক জিয়াবুল হক বলেন, দীর্ঘ দিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করার ক্ষেত্রে যাত্রীরা কষ্ট পাচ্ছে। আর গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বার বার নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে মালিকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে আসছে। আর এখন মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব আসার খবরে টনক নড়েছে তাদের। যদি মন্ত্রী আসলে সড়কের সংস্কার কাজ হয় তাহলে মন্ত্রী সাহেব আরো আগে আসলনা কেন?। দীর্ঘ দেড়শ কিলোমিটার সড়কের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া অংশের আনুমানিক ১৮ কিলোটিার সড়ক সংস্কার না হওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা ওচমান আলী বলেন, টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। বড় বড় মেগাপ্রকল্পও বাস্তবায়ন হচ্ছে দেশীয় অর্থায়নে। এমনাবস্থায় প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল ও লাখো যাত্রী সাধারণ চলাচলকারী এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেশ কিছু অংশে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছিল। সর্বশেষ মন্ত্রী মহোদয় আসার আগেই সড়কটির সংস্কার হচ্ছে দেখে ভালই লাগছে। কারন সামনে নির্বাচন। সড়কটি অবহেলিত থাকলে ভোটে নেতিবাচক প্রভাব পড়ত। সংস্কার হলে এটি কেটে যাবে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মন্ত্রী মহোদয় আসার খবরে আমরা সড়কটির সংস্কার করছিনা। গত মার্চে এ সড়কটি সংস্কারের জন্য ঠিাকাদার নিয়োগ করা হয়েছিল। বৃষ্টির কারনে সেই সময় সংস্কার কাজ করতে পারেনি এখন করছে। অনেকটা তাড়াহুড়া করে চলমান এ সংস্কার কাজ টেকসই না হওয়ার সম্ভবনায় বেশি মলে মনে করছেন সচেতন মহল।