লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় সারাদেশব্যাপি বনায়নের লক্ষ্যে চারা উত্তোলন তৃতীয় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপির বরাদ্দকৃত হইতে লোহাগাড়ায় ৫হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
১২ অক্টোবর সকালে উপজেলা পরিষদ মাঠে পদুয়া বনবিভাগের আয়োজনে বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে এসব গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু।
এসময় উপস্হিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাংসদ প্রফেসর ড.নদভীর একান্ত সচিব, সাতকানিয়া বিআরডিবির চেয়ারম্যান, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এরফানুল করিম চৌধুরী,পুটিবিলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, বড়দুয়ারা বিট কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম,ডলু বিট কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনতাসির হোসাইন রাহুল , লোহাগাড়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান,লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম আসিফুর রহমান চৌধুরী, পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবছার আহমেদ,চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আছহাব উদ্দিন,লোহাগাড়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ ইসমাঈল চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সোহেল চৌধুরী, লোহাগাড়া উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আলী আহমদ,যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ বেলালসহ অনেক নেতৃবৃন্দ।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু বলেন,বৃক্ষ আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। করোনা আক্রান্তদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে অক্সিজেন, যার মূল উৎস হচ্ছে বৃক্ষ। কিন্তু বাড়িঘর নির্মাণ আর কলকারখানা স্থাপনের কারণে দিনকে দিন বন উজাড়ে বাংলাদেশ সবুজতা হারাচ্ছে। দেশের বনজ সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলার নিমিত্তে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সবাইকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে সামাজিক সচেতনতা ও উৎসাহিত করতে হবে। প্রতিটি মানুষের উচিত নিজেদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য গাছ লাগানো বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দরা উপস্হিত ছিলেন।