রায়হান সিকদার,লোহাগাড়াঃ
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আর ঈদে ভ্রমন মানে, ঈদ আনন্দকে অনেক গুন বাড়িয়ে দেয় । ভ্রমন ছাড়া যেন ঈদটা পরিপূর্ণতা লাভ করা যায়না।
তাই এবারের ঈদে লেহাগাড়া উপজেলার চুনতির পানত্রিশার চাম্বি লেকে উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে শত শত পর্যটক।
শনিবার (৮জুন) ঈদুল ফিতরের ৪র্থ দিন সেখানে সরেজমিনে পরির্শনে গিয়ে দেখা যায়,শত শত পর্যটকদের ভিড়৷
বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছে অনেকেই।
চমৎকার,দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক এই লেকটি মন ভরিয়ে দেয় প্রশান্তিতে। পাহাড়ে গাছগাছালি নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য যেন মনকে এমনিতেই ভরে তোলে নির্মল আনন্দে ।
বিদেশী (শ্রীলংকান) পর্যটকও দেখতে এসেছিল চাম্বি লেকে।
ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম নগরী থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন,চাম্বি লেকের ছবি ফেসবুকে দেখিছি, এবার ঈদের ছুটিতে ঘুরতে আসলাম, গৌধূলি লগ্নে সূর্য যখন অন্তিম নীলিমায় ডুবে যায়, তখনকার এ লেকের পরিবেশ খুবই চমৎকার লাগে ।
স্হানীয় পর্যটক শেহজাদ জানান, এবারের ঈদে তাদের সাথে শ্রীলংকার কয়েকজন পর্যটক এসেছে। এসময় লেবার চারপাশ ঘুরে দেখেন। চাম্বিলেকের দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে তারা অত্যন্ত খুশী।
চাম্বি রাবার ড্যাম সমবায় সমিতির সভাপতি মাস্টার মাহবুবুর রহমান জানান,
এবারের ঈদে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা হতে অনেক পর্যটকরা চাম্বি লেকে আসে। এখানে অনেক কিছু দেখার মত দৃশ্য রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চাম্বি লেকের
পাহাড়ে গাছগাছালি নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য যেন বিভিন্ন এলাকা হতে আসা পর্যটকদের মনকে আকৃষ্ট করে তুলে।
কিভাবে চাম্বিলেকে যাবেন?
চট্টগ্রাম – কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি শাহ সাহেব গেট আছে সেখানে নেমে পড়তে হবে। সেখান থেকে ইসহাক মিয়া সড়ক ধরে সাত-আট কিলো আগালে এবং তারপর কাউকে জিজ্ঞেস করলে আপনি পেয়ে যাবেন চাম্বি লেক। এছাড়ও লোহাগাড়া বটতলী ষ্টেশন থেকে ডিসি সড়ক দিয়েও যেতে পারবেন।