লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যুবলীগ নেতা তৌহিদু্ল হকের বিরুদ্ধে প্রবাসী নুরুল কাদেরের স্ত্রী আনসার খানম কর্তৃক মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করে মানক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে যুবলীগ নেতা তৌহিদু্ল হক।
২১ জুন সকালে উপজেলা সদরে পুরাতন থানা রোডস্থ তার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন যুবলীগ নেতা তৌহিদুল হক। তিনি বলেন, গত ২০/০৬/২০২৪ ইং তারিখ লোহাগাড়ার প্রবাসী নুরুল কাদের'র স্ত্রী আনসার খানম কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আমাকে জড়িয়ে যে সব মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিক্তিগীন 'বষয়াদি তাঁর লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় যে সব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমি প্রতিপক্ষের সংবাদ সম্মেলনে আনীত অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদসমূহের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি এলাকার স্বচ্ছ ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্ধান এবং দীর্ঘদিন যাবৎ অতি সুনামের সহিত আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতি করে আসছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ আনছার খানম আমাকে নামধারী স্থানীয় যুবলীগ নেতা বলে একদিকে যেমন আওয়ামী যুবলীগের ও অন্যদিকে আমার ব্যক্তিগত মানহানী ঘটিয়েছেন। গত ১৮/১/২০০৯ ইং তারিখে ১২৮ নং দলিলমূলে ক্রয়কৃত ৭ শতক জায়গার একাংশের গেইটের তালা ভেঙ্গে ও গাছ কেটে পানি চলাচলের নালা নির্মাণ করা হয়েছে মর্মে অহেতুকভাবে আমাকে জড়িয়ে যে অপবাদের কথা উল্লেখ করেছেন তাও আদৌ সত্য নয়। এ প্রসঙ্গে উক্ত প্রতিপক্ষ গত ১৯-৫-২০২৪ ইং তাং আদালত থেকে ফৌজধারী ১৪৫ ধারার একটি মামলার কপি এনে থানায় হস্তান্তর করেছেন। তাতে আমাকে বিবাদী করে নাই। এ ছাড়াও গত ১৪/৬/২০২৪ ইং তারিখ আমাকেসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ আনছার খানম পুণরায় অপর একটি অভিযোগপত্র থানায় দায়ের করেছেন। উক্ত অভিযোগটি বর্তমানে এ.এস.আই ইকরামুল হকের হাতে রয়েছে, যা ২০/৬/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যার পর থানায় ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই ইকরামুল হক'র নেতৃত্বে উভয় পক্ষের বৈঠকের কথা থাকলে আমি উপস্থিত ছিলাম কিন্তু অভিযোগকারী বৈঠকে উপস্থিত হননি। কিন্তু প্রতিপক্ষ আমাকে অবৈধ দখলদার উল্লেখ করে আমার মান-সম্মানহানিকর একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। ফলে, বিষয়টি আমি অপপ্রচার ও রহস্যবৃত বলে ধারণা করছি। লিখিত বক্তব্যে তৌহিদুল হক আরও বলেন, গত ১৭/৬/২০২৪ ইং তারিখ ঈদ-উল-আজহার রাতের অন্ধকারে আমি দলবল নিয়ে তাঁর স্বামীর ক্রয়কৃত জায়গার চারপাশে দেয়া সীমানা প্রাচীরের একপাশের গেইট ভেঙ্গে ফেলি ও অন্যপাশের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়েছি এবং একই সময় গেইটি চুরি করে নিয়ে যায়। অথচ, উক্ত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন। উক্ত জায়গা সংলগ্ন স্থানে পাড়া-প্রতিবেশীরা ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কয়েকমাস পূর্বে জনসাধারণ সর্বসম্মতিক্রমে প্রায় ৪ শত ৫০ ফুট দীর্ঘ একটি নালা নির্মাণ করেছেন। উক্ত নালাটি সর্বসাধারণের চলাচলের পথ হিসেবে ও ব্যবহৃত হচ্ছে। এতদসংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোনো ধরণের অবৈধ লোভ-লালস্যা নেই। এমনকি আমার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কোনো ধরণের হস্তক্ষেপ বা অন্যায়মূলক আচরণ ও আমি কোন সময় করিনি। মুলত, আমার প্রতিপক্ষ অন্য কারও ইশারা-ইঙ্গীতে আমার মান-সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুর্ণ করার জন্য এহেন মিথ্যে ও অসত্য তথ্য প্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। আপনারা সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিপক্ষের আনীত অভিযোগের সত্যতা উদঘাটন করে তা জাতির মাঝে প্রকাশ করার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং একই সময় আমি সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও অপবাদসমূহের তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মন্নান সহ লোহাগাড়ার কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।