‘বেদের মেয়ে জোসনা’খ্যাত এই অভিনেত্রী গত শতকের শেষভাগে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এতদিন নিজেকে অনেকটা আড়াল করেই রেখেছিলেন তিনি।
ঢাকার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আমন্ত্রণে দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার তিনি দেশে এসেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
তিনি বলেন, অঞ্জু ঘোষ উঠেছেন বনানীতে এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বাসায়। তবে রাজধানীর একটি হোটেলে তার থাকার ব্যবস্থা করছে শিল্পী সমিতি।
“আগামী রোববার তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সেখানেই তিনি বলবেন, কেন তিনি এতদিন দেশের বাইরে ছিলেন, কেন আড়ালে ছিলেন, কীভাবে ছিলেন।”
সংবাদ সম্মেলন করে সোমবারই কলকাতা ফিরে যাবেন অঞ্জু ঘোষ। যাওয়ার আগে শিল্পী সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।
জায়েদ খান বলেন, “পুরোপুরি দেশে না ফিরলেও ঢাকার চলচ্চিত্রে ফেরার ইচ্ছা রয়েছে অঞ্জু ঘোষের। তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করতে চান। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েই তিনি বিস্তারিত বলবেন।
ফরিদপুর জেলায় জন্ম নেওয়া অঞ্জু ঘোষ ১৯৭২ সালে যাত্রায় অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। চলচ্চিত্রে আসেন ১৯৮২ সালে, এফ কবির চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।
১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ তার সবচেয়ে আলোচিত সিনেমাগুলোর একটি। সেই সিনেমায় তার নায়ক ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে নতুন নায়িকাদের আগমনে ধীরে ধীরে আলোচনার বাইরে চলে যেতে থাকেন অঞ্জু ঘোষসহ তার সময়ের অনেকে। এক পর্যায়ে অঞ্জু ঘোষ দেশ ছাড়েন, ১৯৯৬ সাল থেকে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন কলকাতায়।
দেশ ছাড়লেও অভিনয় ছাড়েননি অঞ্জু ঘোষ। কলকাতায় যাত্রা ও চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই তিনি কাজ করছেন।
বাংলাদেশে তার উল্লেখ্যযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘বড় ভালো লোক ছিলো’, ‘আবে হায়াত’, ‘প্রাণ সজনী’, ‘ধন দৌলত’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘রক্তের বন্দি’, ‘আওলাদ’, ‘চন্দনা ডাকু’, ‘মর্যাদা’, ‘নিয়ত’, ‘দায়ী কে’, ‘কুসুমপুরের কদম আলী’, ‘অবরোধ’, ‘শিকার’, ‘রঙ্গিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘চোর ডাকাত পুলিশ’, ‘শঙ্খমালা’, ‘আদেশ’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘এই নিয়ে সংসার’ ও ‘প্রেম যমুনা