বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ প্রবল আকার ধারণ করেছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে বুধবার ভোরে উত্তর, উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে এটি প্রবল আকার ধারণ করেছে।
বুধবার সকালে আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে|
ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের ২ নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নং পুনঃ ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বুধবার ভোর ৬টায় তিতলি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
এর আগে পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় তিতলি বাংলাদেশ উপকূলে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আঘাত হানতে পারে। আর দুর্বল হয়ে পড়লেও নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হবে।