রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত : ১২:০০ অপরাহ্ন রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
রায়হান সিকদার,লোহাগাড়াঃ
লোহাগাড়া উপজেলায় তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সকল দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তার জন্য ১৭ই জুন সকাল ১০টায় তথ্য কমিশন ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ তৌছিফ আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক যুগ্ন সচিব মুহাম্মদ আবুল হোসেন।
এসময় উপস্হিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) পদ্মাসন সিংহ, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তাবৃন্দ,উপজেলার ৯ইউপির সচিববৃন্দ, গনমাধ্যম প্রতিনিধিরা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দরা উপস্হিত ছিলেন।
একই দিন বেলা ৩টায় লোহাগাড়া উপজেলা পাবলিক হলে তথ্য কমিশন ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ তৌছিফ আহমদের সভাপতিত্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) পদ্মাসন সিংহ`র সঞ্চালনায় অনুষ্টানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক যুগ্ন সচিব মুহাম্মদ আবুল হোসেন।
এসময় উপস্হিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এম ইব্রাহীম কবির, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জেসমিন আকতার, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা নুরুল আবছার চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এইচ এম গনি সম্রাট,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিবাস দাশ সাগর, পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জনু কোম্পানি, বড়হাতিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ চৌধুরী, পুটিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইউনুছ, কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ ওয়াহেদ, আমিরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) এসএম ইউনুছসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ,সাংবাদিকবৃন্দ,
জনপ্রতিনিধিরা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্হিত ছিলেন।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ তৌছিফ আহমদ বলেন,
তথ্য অধিকার আইন এবং তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ এই দুইয়ের সমন্ময়ে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। প্রত্যেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যদি তথ্য অধিকার আইনকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় তবে শুধু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই নয় বরং সকল কর্মকর্তা এই আইন সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপীল কর্মকর্তার জন্য একটি এবং সাধারণ জনগণের জন্য আরো একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে এই আইন আরো বেশি কার্যকর হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক যুগ্ন সচিব মুহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন,
তথ্য অধিকার আইনের প্রশিক্ষণ প্রযুক্তির সম্প্রসারণের একটি প্রয়াস।যে কেউ এই আইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিলে সমাজের জন্য তা কল্যানকর হবে।
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে বর্তমানে জনগণ অনেক তথ্য পাচ্ছেন, দুর্নীতির বিষয়গুলো বেরিয়ে আসছে।
এতে সমাজ ও দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে।এই আইনের যথাযথ ব্যবহারে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে, দুর্নীতি হ্রাস পাবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
তথ্য অধিকার আইনের প্রচারে সকল গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।