টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির চলমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন অত্র সিমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আহমদ হোছাইন। নিচে তার বক্তব্যটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
"আমার কিছু কথা"
টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্মানিত সদস্য ভাইয়েরা,উপদেষ্টা,পৃষ্ঠপোষকবৃন্দ ও টেরীবাজার এলাকার ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের কর্মচারী ভাইয়েরা আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
সমিতির সম্মানিত সভাপতি জনাব আলহাজ্ব ওসমান গণি চৌং, সম্মানিত উপদেষ্টা
আবদুল মান্নান ভাই, হামিদ হোছাইন ভাই,
সাঃ কর্মকর্তা আবদুল মাবূদ ভাই,খলিলুর রহমান ভাই, বাদশা মিয়া সওঃ, লোকমান সওঃ সহ যারা মৃত্যুবরন করেছেন এবং করোনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।
সম্মানিত ব্যবসায়ী ও সদস্য ভাইয়েরা আপনারা জানেন সমিতি হল ব্যবসায়ীদের প্রাণ। ব্যবসায়ীরা যখনই বিপদগ্রস্ত ও ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হবে তখন সমিতি তাদের উপর ছায়া ও ঢাল হিসাবে এগিয়ে আসবেন, ব্যবসায়ীদের রক্ষা করবেন। এই মূলমন্ত্র নিয়ে কিন্তু সমিতি গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়, তেমনি ভাবে টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্য থেকে ব্যবসায়ীদেরকে রক্ষা করার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অতীত ইতিহাস বলে যখনই ব্যবসায়ীদের উপর আঘাত এসেছে তখনই আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে তা মোকাবিলা করেছি, যেগুলো টেরীবাজার বাসী জানে। ২০১৮ সালের রমজান মাসে টেরীবাজারের ইতিহাসে জঘন্যতম কোষ্টগার্ড সহ যৌথ বাহিনীর অবৈধ ও অননুমোদিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে শোরুম এর প্রতিযোগিতা মুলক বাজার কে ধ্বংস করা সহ টেরীবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা যে নিল নকশা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল তা চট্টগ্রামের সমস্ত প্রশাসন, সর্বস্তরের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সহ সকলকে সাথে নিয়ে সেদিন ও আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। সেদিন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলাম বলেই তা সম্ভব হয়েছিল। অতীতে ও আরো অনেক ঘটনা ঘটেছে সব গুলো হয়ত নাইবা বললাম। সমিতির কার্যালয় উদ্ধার ও শাহবাগ মার্কেটের গফুরের দোকান উদ্ধারে এবং টেরীবাজার ব্যবসায়ীদের উপরে
বহিরাগতদের হামলা সহ ব্যবসায়ীদের বিপদের সময়ে ও প্রত্যক্ষভাবে জীবনবাজি রেখে ব্যবসায়ীদের পাশে ছিলাম। কোন সময় পিছপা হয়নি সমিতিকে সবসময় আগলে রেখে কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছি। আমাদের মনে রাখতে হবে সংগঠনে অনেক মতভেদ থাকবে সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে যদি আমরা অভিভাবক সুলভ আচরণ করতে পারি তাহলে অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়।
অতীতে সমিতির অনেক বার কেবিনেটে আমি ছিলাম এইরকম নজিরবিহীন অরাজকতা ও ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। আমরা যদি এই কথায় মনে করি আমি সমিতিতে এসেছি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা ও সেবা দেওয়ার জন্য, এই চিন্তা চেতনা আমাদের থাকত তাহলে এই অনাকাঙিক্ষত ঘটনা গুলো ঘটত না।
আমাদের মনে রাখতে হবে এইটা সেবামুলক প্রতিষ্ঠান, এইটা রাজনৈতিক মনোবৃত্তির কোন জায়গা নয়। এখানে লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্ব, এই এলাকায় রয়েছে আমাদের কষ্টার্জিত উপার্জন ও আমাদের অনাগত ভবিষ্যত প্রজন্ম সন্তানদের ঠিকানা।
আমি সবাইকে অনুরোধ করছি প্লিজ
সমিতিটাকে নষ্ট করবেন না, এখানেই রয়েছে
ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব অধিকার।
অতীতে সমিতিতে গিয়ে মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমার জানা মতে ক্ষমতার অপব্যবহার কোন ব্যবসায়ী কে ক্ষতিগ্রস্ত করিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ গুলো কে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। মানুষের মধ্যে মতের পার্থক্য থাকবে তাই বলে তাকে ক্ষতির সম্মুখীন করবো না।
না হয় সব গুলোর হিসাব একদিন আল্লার কাছে দিতে হবে, ক্ষণিকের এই দুনিয়াতে একদিন আমরা কেউ থাকবো না।
আর নয় কাদা ছুড়াছুড়ি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি, এবং সবাইকে নিয়ে একসাথে চলি।
আমি আশাকরি উভয় পক্ষ সংযত হবে এবং সৃষ্ট সমস্যার একটা সুন্দর সমাধান হবে।
ভুল ত্রুটি হলে ও কারো মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
অতীতে ও ব্যবসায়ীদের পাশে ছিলাম এখনও আছি ভবিষ্যতে ও থাকব ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।