রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চরম্বা ইউপি সদস্য সোলাইমান`র উপর হামলা,থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত : ৪:২৩ পূর্বাহ্ন রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ

লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউপির ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সোলাইমানকে অতর্কিতভাবে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে চরম্বা ঘটিয়ার পাড়া এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সোলাইমান বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের জান মোহাম্মদ পাড়া এলাকার মৃত গোলাল মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ ইদ্রিস(৫৫) কে বিবাদী করে লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, ঘটনার দিন বিকেলে মোহাম্মদ সোলাইমান মোটর সাইকেল যোগে চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় হতে কাজ শেষ করে বাড়ীতে ফেরার পথে জান মোহাম্মদ পাড়া জামে মসজিদের উত্তর পার্শ্বে আলমের দোকানের সামনে আসিলে উল্লেখিত বিবাদী তার পথ গতিরোধ করে বিবাদীর হাতে থাকা টিফিন বক্স দিয়ে ইউপি সদস্যকে স্বজোরে বারি মারিলে তিনি মোটর সাইকেল থেকে পড়ে যায়। এসময় বিবাদী তার পকেটে থাকা সরকারী ত্রাণের ২৫টি স্লীপ ও ১৮হাজার টাকা নিয়ে ফেলে। অভিযোগে আরও উল্লেখ, বিবাদী পুণরায় লাটি দিয়া মারধর করতে এগিয়ে আসলে স্হানীয়রা এসে সোলাইমান মেম্বারকে উদ্ধার করে। পরে তাকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিবাদী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মুহাম্মদ সোলাইমান উক্ত প্রতিবেদককে জানান, চরম্বা ইউপি কার্যালয় হতে চেয়ারম্যান সাহেবকে সাথে নিয়ে বাড়ী ফেরার জন্য রওনা দেন। চেয়ারম্যান সাহেবকে বাড়ীঘাটার সামনে নেমে দিই। পরে তিনি বাড়ী যাওয়ার পথে আলমের দোকানের সামনে তার পথ গতিরোধ করে তাকে স্বজোরে বারি মারলে মাটিতে পড়ে যায়। মুহাম্মদ ইদ্রিস তার পকেটে থাকা সরকারী ত্রাণের স্লীপ ও ১৮হাজার টাকা নিয়ে ফেলে । তিনি বিষয়টি ইউএনও স্যারকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছি।পরে থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সুষ্ট বিচারের জোর দাবী জানান।

চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইদ্রিস খুব বেশী খারাপ লোক। মেম্বার সোলাইমানের উপর হামলার ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, ইউপি মেম্বারকে মারধরের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য এসআই আবদুল হক কে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত ইদ্রিসের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন