বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

গভীর রাতে ফোন পেয়ে অসহায় মহিলার বাড়ীতে খাবার নিয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশ

প্রকাশিত : ১১:৩১ অপরাহ্ন বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

 

রায়হান সিকদার,লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ

সারা দেশে করোনাভাইরাসে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ, অভাব-অনটন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদ।

ইতিমধ্যে তিনি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অসহায়, হতদরিদ্র, কর্মহীন পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ তার নিজস্ব অর্থায়নে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাবার সামগ্রী প্রদান করে যাচ্ছেন।
৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদকে সরকারী নাম্বারে ফোন করেন উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের বাঁশখালিয়া পাড়ার এক বিধবা মহিলা।
তিনি কান্নাজনিত কন্ঠে থানার ওসিকে বলেন যে,অভাব অনটনের কথা। এক বেলায় খাবার খাওয়ার মত বিধবা মহিলার সামর্থ্য নেই।
বিধবা মহিলার কল পাওয়ার ২০মিনিট পরে খাবার নিয়ে হাজির হন লোহাগাড়া থানা পুলিশ। ওসি জাকের হোসাইন অসহায় বিধবার বাড়ীতে লোহাগাড়া থানার এএসআই মাইনুদ্দিনকে পাঠান। বিধবা মহিলা খাবার সামগ্রী পেয়ে মহা খুশী।

বিধবা মহিলার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, তিনি খুব বেশী অসহায়। অনেক পুর্বে তার স্বামী মারা যান। ছেলে সন্তানও নেই। অভাব অনটনে চলছে সংসার। দুবেলা দুমুঠো খাবার খাওয়ার মত একটা পয়সাও নেই। তিনি ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদের সুনাম শুনে কান্না করে ফোন করেন। সাথে সাথে তার বাড়ীতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। বিধবা মহিলা ওসি সাহেবের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রাণখুলে দোয়া করেন।

ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমিরাবাদ বাঁশখালিয়া পাড়া এলাকা হতে ফোন আসে। বলেন যে, তিনি বিধবা। অনেক বেশী ক্ষুধার্ত। এক বেলা খাওয়ার মত তার কোন সামর্থ্য নেই। তখন সাথে সাথে থানা পুলিশের এএসআই মাইনুদ্দিন চৌধুরীকে বিধবার বাড়ীতে খাবার সামগ্রী পাঠিয়ে দিই। তিনি আরো বলেন, দুর্যোগ সংকটময় মুহুর্তে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আমরা এলাকার মানুষের পাশে সবসময় এগিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

আরো পড়ুন