রায়হান সিকদারঃ
লোহাগাড়া শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে লোহাগাড়া ইউনিয়ন, দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলাম বারী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আমিরাবাদ ইউনিয়ন, পদুয়া এস আই চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পদুয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সকল স্কুল ও মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ইউএনও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বের পরীক্ষা অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
১৯ নভেম্বর পৃথক পৃথকভাবে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। প্রায় ৮০ ভাগ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহ মুখরিত হয়ে উঠে। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয়।
সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) শরীফ উল্যাহ, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) মুুহাম্মদ মাহবুব আলম শাওন ভুঁইয়া।
কয়েকজন শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, স্যারের এই উদ্যোগটি সত্যিই অসাধারণ। আমরা খুব উপভোগ করেছি। আমাদের এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে এই ধরনের একটি প্রতিযোগিতা আমাদের জন্য খুবই উপকারী হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
জানা যায়, আজ অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ৫০ নম্বরের মধ্যে বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫, গণিত ১০ ও সাধারণ জ্ঞান ও আইসিটি ১০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২৬ নভেম্বর আধুনগর, চুনতি ও বড়হাতিয়া এবং আগামী ০৩ ডিসেম্বর কলাউজান, চরম্বা ও পুটিবিলা ইউনিয়নের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম পর্বের পরীক্ষার মূল্যায়নের পর ২য় পর্বের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান, এমন একটি উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এমন আয়োজন তাদের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতে ভালো করার একটা দিক-নির্দেশনা এই জাতীয় পরীক্ষার মাধ্যমে তারা পাচ্ছে। তাছাড়া এই প্রতিযোগিতায় প্রকৃত মেধাবীরা চূড়ান্তভাবে মূল্যায়িত হবে। স্যারকে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ইউএনও শরীফ উল্যাহ জানান, বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে পড়াশুনায় ঠিকভাবে মনোনিবেশ করছে না। তদুপরি করোনার কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশুনায় মনোযোগী করতে এবং তাদেরকে বইমুখী করতেই মূলত এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি। এতে করে এসএসসি পরীক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুতি ভালো এবং তরান্বিত হবে। এছাড়া এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে যে কোনো কঠিন প্রতিযোগিতার জন্যও তারা আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী হয়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আজ শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের শিক্ষকবৃন্দও এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আমাকে বিশেষ সহযোগিতা ও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।