রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ১:২১ পূর্বাহ্ন রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রায়হান সিকদারঃ
মিন্টু বড়ুয়া। তার পিতার নাম রণধীর বড়ুয়া। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের কেমেলিয়া পাড়ায়। পেশায় একজন রিক্সা চালক। তার সংসারে রয়েছে স্ত্রী, ৪মেয়ে ১ ছেলে সন্তান। ৪মেয়ের মধ্যে প্রথম কন্যাকে অতি কস্টে বিয়ে দেন রিক্সা চালক মিন্টু। তার কোন জমি জমা নেয়। তার একমাত্র উপার্জনের উৎস রিক্সা। মিন্টুর পরিবারের বাকি সদস্যরা সবাই পড়ালেখা করছে। তার নেই কোন ঘর। অতি কষ্টে ভাঙা ঘরে ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী কে নিয়ে অতি কস্টে দিনযাপন করছেন। তার ছোট মেয়ে চন্দনা বড়ুয়া। আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে। তার রয়েছে অনেক প্রতিভা। রিক্সা চালক মিন্টুরও স্বপ্ন তার মেয়েকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। চন্দনা বড়ুয়া ক্রিকেট, ফুটবল, দৌড় প্রতিযোগিতা ও উচ্চ লাফ, দীর্ঘলাফ প্রতিযোগিতায় সবসময় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে দৌড় প্রতিযোগিতা , উচ্চলাফ, দীর্ঘলাফ প্রতিযোগিতায় তাকে বিভিন্ন জেলা থেকে পুরুষ্কৃত করা হয়েছে।
ফেনী জেলার ১০০মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় চন্দনা বড়ুয়া সেরা হয়েছেন। এছাড়াও ক্রিকেট, ফুটবল খেলতে অনেক পছন্দ করেন। তার রয়েছে অনেক স্বপ্ন, অনেক প্রতিভা। কিন্তু তার বাবার পড়ালেখা করাতে তেমন সামর্থ্য নেই। ছেলে-মেয়েদের কে নিয়ে সংসার চালাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে মিন্টু বড়ুয়াকে।
আধুনগর কেমেলিয়া পাড়া সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য,শিক্ষক সলিল কান্তি বড়ুয়া জানান, মিন্টু দীর্ঘদিন ধরে রিক্সা চালিয়ে ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে অতি কস্টে সংসার চালাচ্ছে। তার কোন জমিজমা নেই। ভাঙ্গা ঘরে অতি কস্টে জীবন-যাপন করছেন। তার ছেলে-মেয়েরা সবাই পড়ালেখা করছে। মাঝে মাঝে স্কুলের বেতন দিতে পারেনা। তার ছোট কন্যা চন্দনা বড়ুয়ার অনেক প্রতিভা রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ইভেন্টে কয়েকটি জেলায় সেরা হিসেবে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাই সরকারসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে একটি ঘর করে দেওয়ার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রিক্সা চালক মিন্টু বড়ুয়া জানান, আমি রিক্সা চালায়। আমার স্ত্রীও অসুস্থ। আমিও নিয়মিত রিক্সা চালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার একটি ভাঙ্গা ঘর ছাড়া কোন জমি নেই। অতি কস্টে ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছি। একটি ঘর যদি সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়, তাহলে আমার অনেক উপকৃত হবে। আমার ছোট মেয়ে চন্দনা বড়ুয়ার অনেক প্রতিভা রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ইভেন্টে কয়েকটি জেলায় সেরা হিসেবে পুরুস্কার পেয়েছেন। আমার মেয়ের প্রতিভা থাকলে তো টাকার অভাবে ভাল করে গাইড করতে পারছিনা।