বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ২:০৬ অপরাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রায়হান সিকদারঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ১০৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্য ৩২টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ ভারপ্রাপ্তদের দিয়েই চলছে শিক্ষার কার্যক্রম। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ১০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার ৪টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ২৫হাজার ২৬৪জন। ১০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। যার ফলে শিক্ষার কার্যক্রম চালাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
উত্তর হরিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুুহাম্মদ হোসাইন জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এসব শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ না দিলে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান দেওয়া সম্ভব হবে না। পাশাপাশি ঝরে যাওয়া শিশুদের স্কুলমুখী করার পরিকল্পনা করে তাঁদের ফেরাতে হবে। পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ে শিক্ষার মানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি লোহাগাড়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক,
শিক্ষক নেতা শেখ জহির মুুহাম্মদ বশির জানান, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই সেগুলোতে অচিরেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া জরুরী। কারণ সহকারী শিক্ষিকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের সময় অনেক সমস্যার সৃষ্ঠি হয়। লোহাগাড়ার ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিলে শিক্ষার মান আরো প্রসার হবে। তিনি আরও বলেন, একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকলে স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রধান শিক্ষকেরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব পালন করে। প্রধান শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
উজিরভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মিনু আরা বেগম জানান, একজনে দুটি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। তাই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষার মান আরও ত্বরানিত হবে।
উজিরভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, ‘আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। সহকারী শিক্ষক দিয়েই চলছে স্কুল। যিনি প্রধান শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকেন তিনি সব সময় স্কুলের খাতাপত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সে কারণে তিনি ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানে সময় দিতে পারেন না।’
লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এম ইব্রাহীম কবির বলেন, ‘আমাদের লোহাগাড়ায় ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। কেউ বদলি হয়ে চলে গেছে আবার কেউ অবসরে গেছেন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে খুব তাড়াতাড়ি শূন্যপদগুলো পূরণের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, লোহাগাড়ার ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।সেসব স্কুলগুলো তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।