বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ৮:১৮ পূর্বাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ৭নং ওয়ার্ডস্থ পেঠান শাহের মাজারের পূর্ব পাশে হিন্দু পাড়া এলাকায় হাঙ্গর খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ওই সময় বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করা হয় এবং উত্তোলিত বালু জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (৫জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ উল্ল্যাহ।
তিনি জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্দ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা যাবেনা। বালু খেকোরা যতই শক্তিশালী হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন পদুয়া ইউপির চেয়ারম্যান হারুনর রশীদ, ইউপি সদস্য মো. এহসান, ইউপি সদস্য আমানুল হকসহ এলাকাবাসী।
চেয়ারম্যান হারুনর রশীদ জানান, হাঙ্গর খালের যে স্পট থেকে বালু উত্তোলন করেছিল সেটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি এলাকার কৃষকেরা আমাকে জানালে আমি তাদেরকে অভিযোগ নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তাদের অভিযোগ পেয়ে ইউএনও স্যার সাথে সাথে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্দ করে মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করে দেন। ইউএনও মহোদয়কে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
স্থানীয় কৃষক অনিল দাশ জানান, কৃষকরা যেখানে কৃষি কাজ করে শাক-সব্জি চাষ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে সেই চর গুলো কেটে খালের পানিতে ফেলে সেখান থেকে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেছিল একটি প্রভাবশালী মহল। এভাবে বালু উত্তোলন করলে তাদের কৃষি কাজ করার জায়গাসহ বসতঘরের ভিটেমাটি বিলীন হয়ে যাবে এবং
বর্ষাকালীন সময়ে খালের পাড় ছিড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়ও রয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ অভিযান পরিচালনা করার জন্য এলাকার অসহায় কৃষকেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানান।