শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত : ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
রায়হান সিকদার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাতকানিয়া সমিতি, চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে সমিতির প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানের স্মরণে শোকসভা আজ ৩০ নভেম্বর শণিবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম -১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
সমিতির আহবায়ক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপনের সভাপতিত্বে শোক সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব আবুল বশর আবু।
বক্তব্য রাখেন সমিতির উপদেষ্টা আব্দুল গাফফার চৌধুরী, আব্দুল মাবুদ চৌধুরী, হাজী রফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন, তামাকুমন্ডি লেইন বনিক সমিতির সভাপতি সামশুল আলম, টেরিবাজার ব্যবসায়ি সমিতির সাবেক সভাপতি লায়ন ওসমান গণি চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আহমদ হোছাইন, অধ্যাপক শাব্বির আহমদ, ডা.মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মরহুমের ছোট ভাই মাহবুবুল রহমান কাসেমী, মাহফুজুর রহমান নিজামী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহমুদুল হক মেহেদী, জানে আলম, এটিএম রশীদ উদ্দিন শাহীন, এহসানুল হক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, সাতকানিয়া সমিতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানের চিকিৎসা ব্যয় থেকে শুরু দাফন কাফন এবং শোক সভা পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশ গ্রহনের জন্য সমিতির কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে আমার আব্বার নামে প্রতিষ্ঠিত এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের সাধারন সদস্য হিসেবে উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। অত্যন্ত সহজ সরল ও অমায়িক স্বভাবের অধিকারী সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান ছিলেন অত্যন্ত পরোপকারি, সমাজহিতৈষী মনোভাপন্ন মানুষ ছিলেন। সবসময় মানুষের কল্যাণের কথা ভাবতেন এবং আত্মীয় স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের খোঁজখবর রাখতেন। মাহমুদুল হাসান সুলিত কন্ঠের অধিকারী একজন কন্ঠশিল্পী ছিলেন। ড. আবু রেজা নদভী আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রোগ শোকে আক্রান্ত মাহমুদুল হাসানের চিকিৎসার খবর নিয়েছি এবং আর্থিক অনুদান দিয়েছি। ভবিষ্যতে তাঁর সন্তানদের লেখাপড়া ও চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহনের ঘোষণার পাশাপাশি তাঁর পরিবারের ভরন পোষনের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠনের কথা ব্যক্ত করেন।