বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লোহাগাড়ায় গণহত্যা দিবস-২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত : ৩:২০ অপরাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

লোহাগাড়ায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস-২৩ পালন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ,সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) শরীফ উল্যাহ`র সভাপতিত্বে এতে বক্তব্যে রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ,লোহাগাড়া থানার ওসি(তদন্ত) মোঃ সাইফুল ইসলাম,
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার আবদুল হামিদ বেঙ্গল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) মাহবুব আলম শাওন ভুঁইয়া।

অনুষ্ঠানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল রাজ্জাক, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এসএম মনির উদ্দিন, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন, পদুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুপন কান্তি নাথ, শিক্ষিকা লায়লা বিলকিস, উপজেলা পরিষদের সিএ রুবেলসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা জানান, আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। সেদিন দিবাগত রাতে পাক-হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে নৃশংসতম গণহত্যা চালায়।‘অপারেশন সার্চ লাইট’ ছিল বাঙালির একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাক-সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। লোক দেখানো বৈঠকের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২ মার্চ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ সারা বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। পূর্ব বাংলায় বেসামরিক শাসন ব্যবস্থা পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়লে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করেন।

আরো পড়ুন