বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ৩:৩৩ অপরাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় উপজেলা সদর ইউনিয়নের দরবেশহাট রোডস্থ ফোরকান টাওয়ারের সামনে হতে অপহরণের ১০ ঘন্টার মাথায় অপহৃত মাজার খাদেম মুহাম্মদ নুরুল আলম(৪৭)কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী যুবক রাজা মিয়া(২৮) কে আটক করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম কলাউজান মন্নান মিয়াজী পাড়ার মৃত গুরা মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ নুরুল আলম মন্নান মিয়াজী গায়েবী কোরআন ঘরের দীর্ঘদিনের খাদেম। আকতারের সাথে ১০মাস ধরে সম্পর্ক। আকতার এবং রাজা মিয়া কোরআন ঘরে খতম পড়ার জন্য কিছু টাকা দান করার কথা বলে ২২ এপ্রিল বেলা ৩টার দিকে ভিকটিম কে মোটর সাইকেল করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর থেকে ভিকটিমকে উপজেলার চরম্বা গহীন জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১০ঘন্টার মধ্যে( ২২ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে) অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত এলাকা হতে খাদেম নুরুল আলমকে উদ্ধার করা হয়।
মাজারের খাদেম ভিকটিম নুরুল আলম জানান, আমি কবিরাজী কাজ করি। আকতারের সাথে আমার ১০মাসের পরিচয়। আকতার এবং রাজামিয়া মিলে আমাকে খতম পড়ার জন্য কিছু টাকা দান করার কথা বলে ভিকটিম কে মোটর সাইকেল করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রীর কাছ থেকে মুঠোফোনে ৫০হাজার টাকা মুক্তিপথ দাবী করে।আমার পরিবার বিষয়টি থানায় অবহিত করলে থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। আমি ওসি স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, মাজারের খাদেমকে অপহরণের বিষয়টি তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করে তার স্ত্রী।খাদেমকে উদ্ধার করতে এবং অপহরকারীদের আটকের জন্য থানার একটি টিম কাজ শুরু করে। ঘটনার ১০ঘন্টার মধ্যে থানার এসআই নুরুন্নবী,এসআই সামশুদ্দৌহা ও এএসআই শামিম আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম কৌশলে অবস্হান করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। অপহরণকারী রাজা মিয়াকে আটক করা হয়।তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অপরজন আকতার পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।এ ঘটনায় থানায় অপহরণ মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।