বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪
প্রকাশিত : ২:৩৯ পূর্বাহ্ন বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪
লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ডামিরঘোনা এলাকায় যৌতুকের টাকা দাবী করে পুত্রবধুকে শারিরীক ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মহিলার নাম শামিমা আকতার সুমী(২৩)। সে আধুনগর ডামিরঘোনা এলাকার মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী এবং চকরিয়া উপজেলার
হারবাং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্হ জায়না কাটার মুহাম্মদ আবুল কাসেমের কন্যা।
গত ২১ ডিসেম্বর সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় শামিমা আকতার সুমী বাদী হয়ে ওই এলাকার আবদুল হাকিমের স্ত্রী ফাতেমা ইয়াছমিন(৬০), আবদুল হাকিমের কন্যা লাকি আকতার(৪০),আবদুল হাকিমের পুত্র সাহাব উদ্দিন(৪৩) এবং আজগর আলীর পুত্র মুহাম্মদ আবদুল হাকিম (৭০) কে বিবাদী করে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, ২০১১ সালে উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ডামির ঘোনা এলাকার মুহাম্মদ আবদুল হাকিমের পুত্র মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের সাথে হারবাং জায়না কাটার মুহাম্মদ আবুল কাসেমের কন্যার ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে। শামিমা আকতার সুমী স্বামী,ননদ, শ্বশুর-শ্বাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করে সংসার করে আসছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তার শ্বাশুড়ি, ননদ ও স্বামী মিলে যৌতুক টাকা দাবী করে আসছিল। গত ২১ ডিসেম্বর প্রতিবারের মত সকালে যৌতুক টাকা দাবী করলে সুমির পরিবার অসহায় হওয়ায় সুমি রান্না ঘরে রান্না করা অবস্হায় প্রতিপক্ষরা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। ওই এসময় শ্বশুর-শ্বাশুড়ি,ননদ ও স্বামী মিলে সুমিকে লাকড়ি দিয়ে বেধম মারধর করতে থাকে। পার্শ্বের প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আহত অবস্হায় উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
আহত শামিমা আকতার সুমি জানান,আমার সংসারে ২মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে। দীর্ঘদিন সন্তানগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার করে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত আমার শ্বাশুড়ি ও ননদ আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। ঘটনার দিন রান্না করে যৌতুকের টাকা চেয়ে আমাকে আমার স্বামী,শ্বাশুড়ি ও ননদ লাকড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। আমি সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের কাছে সুষ্টু বিচারের আশা করছি।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু জানান, পুত্রবধুকে মারধরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপুর্বক ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য লোহাগাড়া থানা পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করেছি।
লোহাগাড়া থানার এএসআই মুজিবুর রহমান জানান, ইউএনও মহোদয়ের কাছে এক মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেটি তদন্তপুর্বক ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
অপরদিকে, অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।