মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ৯:১১ অপরাহ্ন মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
“মেরাজ পর পৌঁছে নবী জাহের হুয়ে রাজে খফী, বুলে মলায়েক ছব এহি বলাগাল উলা বিকামালিহী“ বিশ্ববরেণ্য অলিকুল সম্রাট হযরত শাহ মাওলানা হাফেজ আহমদ(রহঃ) শাহ ছাহেব কেবলা চুনতি কর্তৃক প্রবর্তিত মেরাজুন্নবী সাঃ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি বাদে আছর চুনতির ঐতিহাসিক মসজিদে বায়তুল্লাহ সীরত ময়দানে এ মাহফিল সম্পন্ন করা হয়।
আলহাজ্ব মাওলানা গাজি মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে মাহফিলে উদ্বোধক ছিলেন চুনতি হাকিমিয়া কামিল এম এ মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা হাফিজুল হক নিজামী।
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক,ট্রমা, অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, লোহাগাড়ার গর্বিত সন্তান, আলোকিত সমাজসেবক ডাঃ মাহমুদুর রহমান।
মাহফিলে উপস্হিত ছিলেন কাজ্বী মাওলানা মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সীতাকুণ্ড আলীয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।,
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চুনতি তাজবিদুল কোরআন হিফজখানা ও একাডেমীর পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুসা তুরাইন।
বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক,ট্রমা, অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, লোহাগাড়ার গর্বিত সন্তান, আলোকিত সমাজসেবক ডাঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন, উম্মতের জন্য মেরাজের উপহার হচ্ছে নামাজ আর নামাজ। নামাজ পড়তে হলে ওযু করা লাগে।প্রতিদিন পাচঁ বার ওযু করার মাধ্যমে নিজেকে জীবাণুমুক্ত করা যায়।ফলে মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার অন্যতম উপায় ও ওযু। তিনি আরও বলেছেন,
মহানবী (সাঃ) এর অসংখ্য মোজেজার মধ্যে পবিত্র মেরাজ অন্যতম শ্রেষ্ঠ মোজেজা।মিরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বগমন। মক্কা শরীফ হতে বায়তুল মোকাদ্দাস (ফিলিস্তিন) এবং বায়তুল মোকাদ্দাস হতে ঊর্ধ্বেগমন, সপ্ত আকাশ ভ্রমণ, নবীগণের সাথে সাক্ষাৎ বেহেস্ত-দোজখ দর্শন এবং সিদরাতুল মোনতাহা পর্যন্ত গমন। সিদরাতুল মোনতাহা থেকে রফরফের মাধ্যমে আরশে আযীমে গমন, সেখানে থেকে লা-মাকান ভ্রমণ এবং আল্লাহর দীদার ও সান্নিধ্য লাভ।
প্রিয় নবী নুরুন্নবী (সা.) এর মেরাজ ছিল বাস্তব, শারীরিক ও আধ্যাত্মিক ঘটনা, মেরাজের বাস্তবতার সাক্ষী হচ্ছেন মহান আল্লাহর তায়ালা ও তার পবিত্র কোরআন (সুরা বনী ইসরাইলের ১ম আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে, পবিত্র তিনি যিনি রজনীযোগে ভ্রমণ করিয়েছেন তাঁর প্রিয়তম বান্দাকে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসায়, যার আশেপাশে আমি ( প্রচুর) বরকত নাযিল করেছি, যেন আমি তাঁকে আমার কুদরতের নিদর্শনাবলী দেখাই; তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা। সাক্ষী হচ্ছে স্বয়ং রাসূল( সা)। এছাড়া সাক্ষী হচ্ছেন স্বয়ং জিবরাইল (আ:সা:) ও সকল ফেরেশতা।মেরাজ যে স্বশরীরে সংগঠিত হয়েছিল তা আজ আধুনিক বিজ্ঞান দ্ধারাই প্রমানিত।