বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

বিধবা ছালেহা বেগম তিন সন্তানকে নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে কষ্টে বসবাস

প্রকাশিত : ৪:২০ পূর্বাহ্ন বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

 

 

ছালেহা বেগম(৩৫)। তার স্বামী মৃত আবদুল আলম।তার বাড়ী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্হ পুরান পাড়া এলাকায়। বিগত ২০১৮ সাল স্টোক করে তার স্বামী মারা যান। তার সংসারে তিন মেয়ে।অতি কষ্টের সংসারে তার কোন ভিটেবাড়ি নেই।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের পুরান পাড়া এলাকায় বিধবা ছালেহা বেগমের স্বামীর মৃত্যুর পর তার সংসারে হাল ধরার কেউ নেই। গেল কিছুদিন পুর্বে তার বড় মেয়েকে ধারদেনা করে অতি কষ্টে বিয়ে দেন। তার ঘরে রয়েছে আরও ২ মেয়ে। এ যেন কষ্টের শেষ নেই। মেজ মেয়ে লাকি আকতার মোস্তাক আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেনীতে অধ্যায়নরত এবং ছোট মেয়ে পুষ্পা জন্নাত দক্ষিণ হরিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেনীতে পড়ে। বিধবা ছালেহা পরের ঘরে কাজ করে যা পান তা দিয়ে চলে কোন রকম সংসার। এমন দুঃখী সংসারে তাকে একমুঠো খাবার দেওয়ার কেউ নেই। মাঝে মাঝে চাল কিনতে পারায় অভাবের দুঃখে কাউকে বলেনা।

বিধবা ছালেহা বেগম উক্ত প্রতিবেদক কে জানান, আমি অনেক বেশী অসহায়। তিন সন্তানের মধ্যে ধার-দেনা করে এক মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছি। আর ২ মেয়ে পড়ালেখা করছে। তাদের পড়ালেখা খরচ জোগাড় করব নাকি অন্ন ব্যবস্হা করব । মাঝে মধ্যে নিজের দুঃখগুলো কাউকে বলিনা। আমার নেই কোন ভিটা-জমি। ভাঙ্গা ঘরে অতি কষ্টে মেয়ে সন্তানদেরকে বসবাস করে আসছি। পরের ঘরে কাজ করে অন্ন জোগাড় করি। তিনি আরও জানান,সরকার সবাই কে ঘর দিচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতামীয় নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি ঘর তিনি ভিক্ষা চান।

অন্তত সে সরকারের পক্ষ থেকে ঘর পেলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন তিনি।

চুনতি ইউপির ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল মন্নান সিকদার উক্ত প্রতিবেদককে জানান,আসলে সাংবাদিক ভাই বিধবা ছালেহা বেগম আমার ওয়ার্ডে হলেও তার অসহায়ত্বের বিষয়টি জানা ছিলনা। তবে, তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করবেন বলেও তিনি জানান।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু উক্ত প্রতিবেদককে জানান, বিধবা ছালেহা বেগমের অসহায়ত্বের খবরটি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। সে যদি একটি লিখিত আবেদন করলে আমরা তাকে একটি ঘর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

আরো পড়ুন