শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বালিশ দুর্নীতির ঘটনায় ১৩ প্রকৌশলী গ্রেফতার

প্রকাশিত : ৩:৪৫ পূর্বাহ্ন শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশব্যাপী আলোচিত রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের গ্রিন সিটি আবাসিক পল্লীর ক্রয় কার্যক্রমে দুর্নীতির ঘটনায় পাবনা গণপূর্ত বিভাগের বরখাস্ত হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ১৩ প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

এর আগে গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনে তোলায় দুর্নীতির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয় দুদক।

প্রসঙ্গত, গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনে তোলায় অনিয়ম নিয়ে গত ১৬ মে দৈনিক দেশ রূপান্তরে ‘কেনা-তোলায় এত ঝাঁজ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬ তলা আটটি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০ তলা আটটি ও ১৬ তলা একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০ তলা ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর ভবনে বালিশ ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা।

প্রতিটি রেফ্রিজারেটর কেনার খরচ দেখানো হয়েছে ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা। রেফ্রিজারেটর ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা।

একেকটি খাট কেনা দেখানো হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা। আর খাট ওপরে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা। প্রতিটি টেলিভিশন কেনায় খরচ দেখানো হয়েছে ৮৬ হাজার ৯৭০ টাকা। আর টেলিভিশন ওপরে ওঠাতে দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৬৩৮ টাকার খরচ।

বিছানার খরচ ৫ হাজার ৯৮৬ টাকা দেখানো হয়েছে; তা ভবনে তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ৯৩১ টাকা। প্রতিটি ওয়ারড্রোব কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৫৯ হাজার ৮৫৮ টাকা। আর তা ওঠাতে দেখানো হয়েছে ১৭ হাজার ৪৯৯ টাকার খরচ।

এরকম বৈদ্যুতিক চুলা, বৈদ্যুতিক কেটলি, রুম পরিষ্কারের মেশিন, ইলেকট্রিক আয়রন, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি কেনাকাটা ও ভবনে তুলতে অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়।

এর পরপরই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পৃথক দুটি কমিটি গঠন করে। এর মধ্যে একটি কমিটির তদন্তেই ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। উচ্চ আদালতে জমা দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্নীতির জন্য ৩৪ প্রকৌশলীকে দায়ী করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এছাড়া আসবাবপত্র ক্রয় ও তা ভবনে তোলার অস্বাভাবিক ব্যয়সংক্রান্ত দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এজন্য গত ১৭ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি

 

আরো পড়ুন