শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
প্রকাশিত : ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
রায়হান সিকদার,দেশবাংলাঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলায় এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। উপজেলার পুটিবিলায় চলতি মাস থেকে ডেঙ্গু রোগের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পুটিবিলা এমচরহাট বাজারের আশপাশ এলাকায় ডেঙ্গু রোগী ছড়িয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের এ পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে অর্ধ শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে তিনজন( এমচর হাট বাজার এলাকার বাসিন্দা নজির আহমদ, জেয়াবুল হক, জাহেদ সওদাগর বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও একই এলাকার জানে আলম, শাহজাহান, নুর হোসেনসহ অনেকেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
অত্র এলাকার বাসিন্দা আসম দিদারুল আলম দেশবাংলাকে বলেন, কিছুদিনের মধ্যে আমাদের এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫০জনের অধিক ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে।আক্রান্ত অনেকেই আমাদের এলাকার পল্লী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। তিনজন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পল্লী চিকিৎসক সৌরভ দাশ জানান, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগীকে তিনি প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। পুটিবিলা এমরচর হাট আশপাশ এলাকার অবস্থা অনেক ভয়াবহ বলেও তিনি জানান।
পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক দেশবাংলাকে বলেন,ডেঙ্গু রোগী ৫০জনের অধিক আমাদের এলাকার লোক আক্রান্ত হয়েছে।ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি শুনার পর উপজেলা স্বাস্থ্য প.প.কর্মকর্তা ডাঃ হানিফ স্যারকে অবহিত করেছি। তিনি এমচরহাট বাজারে স্বাস্থ্য কর্মী পাঠিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনতা তৈরী করতে মাইকিং করে দিয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য প.প.কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ দেশবাংলাকে জানান, পুটিবিলায় ডেঙ্গু রোগীর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অবগত করে। তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য কর্মীদের কে পাঠিয়েছি। এখনো স্বাস্থ্য কর্মীরা কাজ করছে। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে।ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ২জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে না গিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসুন। এ রোগে আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের আতংক হওয়ার কোন কারণ নেই।ঘরের আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি হলে ডেঙ্গু রোগীরা সুস্থ হয়। ডেঙ্গু মশাবাহিত ভাইরাল রোগ। সাধারণত বর্ষাকালে এর প্রকোপ বেড়ে যায় বলেও তিনি জানান।