বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ২:২১ অপরাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পুর্ব মীর পাড়া এলাকায় ভারী বর্ষণে ২০বছরের একটি গাছ(স্থানীয় প্রচলিত ভাষায় শিশু গাছ) উপড়ে পড়ে এক পরিবারের সেমি-পাকা ঘর ভেঙ্গে গেছে।৫ আগস্ট( শনিবার) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
অসহায় পরিবারের নাম নুরুল আলম(৪০)। সে ওই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পদুয়া পুর্ব মীর পাড়ায় নুরুল আলম সেমি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বাসা ভাড়া দেয়। বাড়ির পার্শ্বে পানি চলাচলের জন্য গুইদ্যা ছড়ির ছড়া রয়েছে। সেখানে রয়েছে ২০ বছরের একটি গাছ। শনিবার সকাল ৯টার দিকে ভারী বর্ষণে গাছটি পড়ে যায় নুরুল আলমের সেমি পাকা ঘরে। এসময় ঘরের ওয়াল ধ্বসে পড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল আলম জানান, বিগত ৫ বছর পুর্বে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করে তিনি সেমি-পাকা ঘর নির্মাণ করেন।গাছের মালিক নুরুন্নবী আরমানিকে বার বার গাছটি কেটে ফেলার জন্য বললে তিনি সেটা শুনেন নি। ভারী বর্ষণে গাছের শিকড়সহ উপড়ে গাছটি আমার বসতঘরে পড়ে বাড়িটা ধ্বসে পড়ে যায়। আমার আনুমানিক ১০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হারুনর রশিদ প্রকাশ আর্মি হারুন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম।
চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ জানান, গাছটি যার বাড়িতে পড়ে ধ্বসে পড়েছে তারা নিতান্তই গরীব।বিষয়টি এসিল্যান্ড মহোদয়কে অবহিত করেছি। উভয় পক্ষকে ইউপির কার্যালয়ে ডেকে সমাধান করে দেওয়া হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।
গাছের মালিক নুরুন্নবী আরমানি জানান,এটা প্রাকৃতির দুর্যোগের কারণে গাছিটি ভেঙ্গে পড়েছে। এ ঘটনার বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেব বৈঠকের মাধ্যমে যেটা সমাধান করে দেন সেটি মেনে নিবো।