শহীদুল ইসলাম বাবর, দেশবাংলা.নেট
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো ফজল আহমদের ছেলে হাসান (২০), ইদ্রিসের ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ (২০) ও লেদু আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (২৮)। এ সময় আরো ৩ ধর্ষক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পটিয়া থানা পুলিশ। পলাতক ধর্ষকরা হলো জালাল আহমদের ছেলে মঞ্জুর আলম (২২), নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ সুমন (২৭) ও মোহাম্মদ এরফান (২৮)। সবার বাড়ি কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়নের মাস্টারহাট এলাকা থেকে পটিয়া কোলাগাঁও এলাকার তিতা গাজির মাজারে জেয়ারতে যায় তিন কিশোরী ও দুই কিশোর। রাত ১০টায় তারা বাড়ি ফেরার পথে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে বাণীগ্রাম নতুন পোল এলাকার জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে ৬ জন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে রাত ৩টার দিকে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে চলে যায়। সেখান থেকে দুই অটোরিক্সা চালক ওই কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া আরো দুই অটোরিক্সা চালককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। তারা ওই ঘটনায় জড়িত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।’ কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ নুর বলেন, ‘কিশোরীর মা ঘটনা সম্পর্কে আমাকে সোমবার (১১ নভেম্বর) অবহিত করেন। এরপর তিনি কৌশলে ধর্ষকদের নাম ঠিকানা নিয়ে বৈঠকের নামে একস্থানে জড়ো করেন। এ সময় তিন জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আরও তিনজন পালিয়ে যায়।’