সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
প্রকাশিত : ৩:২০ অপরাহ্ন সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
রায়হান সিকদারঃ
মোঃ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। তার পিতার নাম মোজাফ্ফর আহমদ। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা সদরের শমসের বাপের বাড়ী এলাকায় তার বাড়ী। তিনি ২০১৮ সালে উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারীর জনন্য আবেদন করছিলেন। কিন্তু যাবৎ ভূমি অফিসে ঘুরাঘুরি করেও কাজের কাজ হয়নি। তিনি সঠিক দলিল উপস্হাপন করেও নামজারী করতে পারেননি।
অসহায় মাহবুব দীর্ঘদিন ধরে ভূমি অফিসে ঘুরঘুর করছিল। গত কয়েকদিন পুর্বে তিনি নিরুপায় হয়ে সরাসরি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরীকে অবহিত করেন। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) নামজারী নথিটি তলব করেন। নথিটি পর্যালোচন করে দেখতে পান নথিটি ম্যানুয়ালি আবেদন করা আছে। ২০১৯ সালের জুন থেকে সব নামজারী অনলাইন হচ্ছে। ভুক্তভোগী মাহবুবের কাগজপত্র গুলো বিবেচনা বরে তাৎক্ষণিকভাবে তার সকল কাগজপত্র নিয়ে অফিসের একজন স্টাফকে দিয়ে অনলাইন করেন। পরবর্তীতে বাদী-বিবাদীকে এসিল্যান্ড শুনানি করার জন্য নোটিশ জারি করেন।
গত ১১ অক্টোবর মাহবুবের স্বস্তি আছে। মামলার নিষ্পত্তি করে দেন এসিল্যান্ড মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী ।
ভুক্তভোগী মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান উক্ত প্রতিবেদক কে জানান, এরকম একজন অফিসার, ভূমি কর্মকর্তা লোহাগাড়ায় অতীতে দেখিনি। গত ২০১৮ সাল হতে ভূমি অফিসে নামজারীর জন্য ঘুরাঘুরী করছি, তাতেই কাজের কাজ হয়নি । এসিল্যান্ড স্যারকে আমার সমস্যার কথাগুলো সরাসরী অফিসে গিয়ে অবহিত করলে স্যার আমাকে মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেন। আমি স্যারের কাছ থেকে অনেক সুবিচার ও ন্যায় বিচার পেয়েছি। মহান আল্লাহ কাছে স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে জ গনকে সেবা দেওয়াটা হচ্ছে আমার কাজ। জটিল ভূমি সমস্যা সমাধান করতে বাদি ও বিবাদির দীর্ঘ শুনানীর মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান,মাহবুব রহমানের নামে এক লোক দীর্ঘদিন ধরে নামজারীর জন্য ঘুরাঘুরী করছিল। কোন কাজের কাজ হয়নি । তিনি আমাকে বিষয়টি অবহিত করলে বাদি ও বিবাদীকে নোটিশ করে শুনানীর মাধ্যমে গত ১১ অক্টোবরে মামলাটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। মাহাবুবুর রহমান নামজারী পেয়ে খুশিতে কান্না করে দেন এবং সে আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করেন।