রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টানা বর্ষণে সাতকানিয়ার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত: পাহাড় ধসের শঙ্কা

প্রকাশিত : ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাতকানিয়া(উপজেলা) সংবাদদাতা

শুক্রবার থেকে টানা ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে আসা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে সাতকানিয়ার নিম্মাঞ্চল । এসব এলাকার গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। শঙ্খ ও ডলু নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সরেজমিন পরিদর্শন ও বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে প্রবল বর্ষণের ফলে উপজেলার চরতী, কাঞ্চনা, মাদার্সা, সোনাকানিয়া, ছদাহা ও পুরানগড ইউনিয়নে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানরত লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় মাইকিং করা হয়েছে উল্লেখ করে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ মে. টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। আমরা সোমবার উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের নিতে একাধিক টীম করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শণ করবো। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার নিম্নাঞ্চলের আউশ ধান ও ক্ষেত জমির ফলফলাধি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ধানের বীজতলা। উপজেলার চরতি, আমিলাইষ, নলুয়া, খাগরিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরানগড় ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি এলাকায় শঙ্খনদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কেওচিয়া ইউনিয়নের ১, ২ ৩,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু গ্রামীন সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার মানুষ মূলত গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, আবহাওয়া অফিস বলছে আরো কয়েকদিন ভারী বর্ষণ হবে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। রবিবার ভোরে পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী উপজেলার চরতি, নলুয়া, আমিলাইষ, খাগরিয়া, বাজালিয়া, ছদাহা ও পুরানগড়, কালিয়াইশ সহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও বিল অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাজালিয়া, ছদাহা, কেওঁচিয়া সোনাকানিয়া, কাঞ্চনা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ক্ষেতজমিতেও পানি আটকে থাকায় ফলফলাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কৃষক এবং নিম্নাঞ্চল এলাকার মানুষদেরকে সর্তক থাকান আহবান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, টানা ভারী বর্ষণে পাহাড় ও ভূমি ধ্বসের আশংকায় পাহাড়ি এলাকায় অবস্থানরত বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন উপজেলা প্রশাসন। সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ মে. টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। আমরা সোমবার উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের নিতে একাধিক টীম করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শণ করবো।

আরো পড়ুন