বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছেলের বক্তব্যে শুনে অঝোরে কাঁদলেন গর্বিত পিতা অলি উল্যাহ চৌধুরী

প্রকাশিত : ৮:৩৯ পূর্বাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দক্ষিণ চট্টগ্রাম অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লোহাগাড়া উপজেলার দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলহাজ্ব অলি উল্যাহ চৌধুরী।

তখন দুপুর দেড়টা। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আশরাফ আলী চৌধুরীর দৌহিত্র, বিদ্যালয়ের সাবেক বার বার নির্বাচিত সভাপতি শিল্পপতি ও শিক্ষানুরাগী মুহাম্মদ ফোরকান উল্যাহ চৌধুরী গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে দিতে মাইক্রোফোনের সামনে গেলেন।

বিশাল অভিভাবক সমাবেশে গঠনমূলক ও তার ছাত্র জীবনের কিছু স্মৃতিচারণ বক্তব্যে রাখেন।

ফোরকান উল্যাহ চৌধুরী তার বক্তব্যে শুরু করলেন। আমি ফোরকান উল্যাহ চৌধুরী। তখন ইন্টার পাশ করলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। গ্রামে আসলাম। আমার বাবা অলি উল্যাহ চৌধুরী একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। আমাকে ১০০টাকা দিতো। বলত ১০০টাকা দিয়ে ১মাস চলতে হবে। আমার বাবার টিচার্স ছিলেন মাত্র। তেমন কোন অট্রালিকা ছিলোনা। আমাদের সব ভাইকে পড়ালেখা করালেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় চিন্তা করতাম বাবার দেওয়া ১০০টাকা দিয়ে কিভাবে চলবো। শহরে একটি কুড়েঘরে থাকতাম। পরিশ্রম কোনদিন বৃথা যায়না।মনে মনে চিন্তা করতাম। আল্লাহ কে ডাকতাম। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতাম। বাবা-মাকে অনেক সম্মান করতাম। তাদের কথামত চলতাম। আমার বাবা সংসার সামলানো আমাদের পড়ালেখা কতইনা শক্ত। সত্যিই আমার ছাত্র জীবনের ইতিহাস অনেক সংগ্রামের। নিজের ভিতরে প্রতিভা ছিল বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পার হতে সক্ষম হয়েছি। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছি।আমি আজকে ফোরকান উল্যাহ চৌধুরী হয়েছি। ইন্ড্রাষ্ট্রিজের মালিক হয়েছি। সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারার সামর্থ মহান আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। এসব কথাগুলো বলার সময় মঞ্চে বসে তার গর্বিত পিতা মাস্টার অলি উল্যাহ চৌধুরী।

তার চোখের পানি আজ আনন্দের। তার কষ্টগুলো আজ সার্থক হয়েছে। আমার ছেলে আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পড়ালেখা সম্পন্ন করেছি। আমার চোখের পানি এগুলো আনন্দের।

পিতা-পুত্রের জন্য শুভ কামনা।

আরো পড়ুন