বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ৮:১৪ পূর্বাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি অভয়ারণ্যের জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে পাচার করছে তিন-চারজনের অবৈধ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। এসব গাছগুলো পাচার করে পাচারকারীরা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। এসব গাছ পাচারকালে নসিমনসহ একজন চালককে আটক করেছে বনবিভাগ।
আটককৃতের নাম পারভেজ। তিনি উপজেলার চুনতি মিরিখিল এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে , ২০১৪ সালে উপজেলার চুনতি রেঞ্জের আওতাধীন পানের জিরি এলাকায় ২৪একর জায়গায় আকাশমনি, ম্যালেরিয়া, বেলজিয়াম, লেবু, ফলজ বনজসহ ৪২হাজার চারা রোপন করা হয়। এটি ১৬জন অংশীদারিত্ব বাগান। সামাজিক বনায়নের এ জায়গাতে রুপনকৃত চারাগুলো পাহারা দিয়ে নিরাপদে তদারিকি করে যাচ্ছিল। এ বাগানের মেয়াদ শেষ হলে সরকারে পাবে ৪৫ ভাগ, বাগানের অংশীদারত্বরা পাবেন ৪৫ ভাগ। বাকি ১০ ভাগ পাবে টিএফএফ তে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, চুনতি বন্যপ্রাণী রেঞ্জের আওতাধীন পানের জিরি নামক এলাকায় গত ৩০ জুলাই রাঁতের আধারে একটি সিন্ডিকেট চক্র ( অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীরা) মিলে বিভিন্ন প্রজাতির ২হাজার গাছ কেটে পাচার করে নিয়ে যায়। আরও এক হাজার গাছের চারা নষ্ট হয়ে গেছে।নসিমন ও অটো-রিক্সা করে চুনতি মিরিখিল সড়কের বিভিন্ন করাতকলে কাঠ ব্যবসায়ীরা এসব চোরাইকৃত গাছ কিনে নেয়।
গাছ কাটার বিষয়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুনতি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন।
তিনি জানান,সামাজিক বনায়নের জায়গাতে রুপনকৃত চারাগুলো পাহারা দিয়ে মেয়াদপুর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সমিতির লোকজনে তদারিকি করতে হবে।বাগানের মেয়াদ শেষ হলে সরকারে পাবে ৪৫ ভাগ, সমিতির লোকজনেরা পাবে ৪৫ ভাগ। বাকি ১০ ভাগ পাবে টিএফএফ। তিনি আরও জানান,ঘটনাস্থল থেকে গাছ কাটা অবস্থায় নসিমনে চোরাইকৃত গাছসহ চালক পারভেজকে আটক করি।অন্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করি।আসামীদেকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে উক্ত বাগানের সমিতির সদস্য জমির উদ্দিন বাবর ও শহীদ কোম্পানী জানান, আমরা উক্ত জায়গাতে পাহারা দিয়ে তদারিকি করে আসছি। কিন্তু রাতের আঁধারে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের অবৈধ ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে ২হাজারের মত গাছ কেটে পাচার করে নিয়ে যায়।চুনতি মিরিখিল সড়কের করাতকলের পার্শ্বের কাদা পানিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় কিছু গাছ আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। আমরা গাছ পাচারের সাথে জড়িতদের কঠোর ভাবে শাস্তির দাবী করছি।
গাছ ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিন সওদাগর জানান,চুনতির বিভিন্ন এলাকা থেকে রিক্সা,নসিমন করে আমাদের কাছে গাছ বিক্রির জন্য নিয়ে আসে।
এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন, চুনতির অভয়ারণ্য এলাকা থেকে এভাবে গাছ নিধন হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে।