বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্হ ওয়েদার পাড়া এলাকায় এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। নিহত গৃহবধুর,নাম
তানজিনা নাসরিক কেমি বয়স(১৯)। সে ওই এলাকার মুহাম্মদ এরশাদ হোসেনের স্ত্রী। সে এক ছেলে সন্তানের জনক।
৬ এপ্রিল বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, চরম্বা ওয়াহেদ পাড়ার ফজল করিমের পুত্র মুহাম্মদ এরশাদ হোসেনের সাথে একই ইউনিয়নের নাপারটিলা সিকদার পাড়ার জয়নাল আবেদীনের কন্যা তানজিন নাসরিন কেমির সম্পর্কের মাধ্যমে বিবাহ হয়। এরশাদ পেশায় রাজমেস্ত্রী। তাদের ঘরে ফুটফু্টে শিহাব উদ্দিন নামে ১বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।
কিন্তু বিগত ১৫দিন ধরে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিনিয়ত কেমিকে মারধর করে তার স্বামী। এক পর্যায়ে এরশাদ তার শ্বাশুড়িকে মোবাইলে কল দিয়ে টাকা দাবী করে। বিগত ৭দিন পুর্বে অতি কষ্ট করে ৩হাজার ৫০০টাকা তার মেয়ের জামাইকে দেয়। বুধবার বিকেলে বৈদ্যুতিক ফাঁকা(ফ্যান) এর সাথে গলায় ওড়না পেঁছিয়ে দরজা বন্ধ করে সে আত্মহত্যা করে। পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের রুমের দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মা রুবি আকতার কান্নাজনিত কন্ঠে জানান,আমাকে বিগত ১৫দিন পু্র্বে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে টাকা পাঠাতে বলে। আমারও মেয়ে কেমিও কয়েকবার কান্নাকাটি করে ফোন করে মারধরের কথা বলে।পরবর্তীতে আমি সাড়ে ৩হাজার টাকা জোগাড় করে পাঠিয়েছি। আমার মেয়েকে তার স্বামী প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন চালাতো। অনেক সময় ভয়ে আমার মেয়ে বলতো না। আজকে আছরের নামাজ পড়া অবস্হায় আমার মেয়ের জামাই মোবাইল করে বলেন যে, মেয়ে ফাঁসি খেয়েছে। এরপর থেকে মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছে। মেয়ে জামাই পলাতক রয়েছে। তার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। তিনি সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং এসআই রুহুল আমিন।
ওসি মুুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করেছি। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ পোস্ট মডেমের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।