বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ৮:২৪ পূর্বাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৪/৬ লাইনে উন্নীতকরণ, বাঁক সংস্কার, লবনপানি বাহি নিঃসৃত ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধকরণ, যানাবাহনের মাত্রাতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণ এবং ফিটনেস বিহীন অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবীতে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫মার্চ (শুক্রবার) সকালে সদরের বটতলী মোটর স্টেশনস্হ সংগঠনের অস্হায়ী কার্যালয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) লোহাগাড়া উপজেলা শাখার আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোজাহিদ হোসাইন সাগর।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্হিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এম ইব্রাহীম কবির, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নিবাস দাশ সাগর, লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম,লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল খালেক, সাংবাদিক কাইছার হামিদ, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল সায়েম।
লিখিত বক্তব্যে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোজাহিদ হোসাইন সাগর বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিশেষ করে লোহাগাড়া উপজেলা অংশে নিত্যনৈমিত্তিকভাবে লেগে আছে সড়ক দুর্ঘটনা। মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম ও সংখ্যা, আবার অনেকে বরণ করছে পঙ্গুত্ব। তথ্য মতে- চলতি বছরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে শতাধিক মানুষের। এর মধ্যে গত সোমবার লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ৫ মেধাবী ছাত্র। প্রতিনিয়ত সড়কে নৈরাজ্য রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়ে আসলেও সাড়া নেই কারও। তিনি সড়ক দুর্ঘটনা রোধ কল্পে ৫টি দাবী পেশ করেন সেগুলো হলো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি ৪/৬ লাইনে উন্নীত না হওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ। এই যোগাযোগ সড়কটি দ্রুত চার/ছয়-লেনে উন্নীত করে সড়ক দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে হবে। অদক্ষ চালকদের মাধ্যামে চালিত ও ফিটনেস বিহীন ও অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে নির্মিত একমাত্র ট্রমা সেন্টার “লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার” দ্রুত চালু করার মাধ্যমে আহতদের চিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর হতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসার খরচ যোগানোর ব্যবস্হা করতে হবে। যানবাহনের অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণ, হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালক ও গাড়ী চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা চালকদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারন হিসেবে মহাসড়কে লবণবাহী পানি নিঃসৃত ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে হবে । পাশাপাশি দীর্ঘ ৫৫ কিলোমিটারের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ বাঁক সমুহ সংস্কারের দাবী জানান তিনি। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের মডেল একটি সরকার। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশ দিয়ে স্বপ্নের রেল লাইন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। যার কারণে মহাসড়কে চাপ কমে আসবে, কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঝুকিপূর্ণ বাঁকসমূহের সংস্কার ও চার/ছয় লাইনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে লাশের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে। তাই দ্রুত সময়ে উপরোক্ত দাবীগুলো বাস্তবায়নের জন্য
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের কর্ণধার সাংবাদিক ভাই-বন্ধুদের জনস্বার্থে সার্বিক সহায়তা কামনা করেন তিনি।