শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বড় বড় গর্তগুলো যেন মরণফাঁদ!

প্রকাশিত : ৮:৫০ পূর্বাহ্ন শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রায়হান সিকদারঃ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার অংশে বড় বড় গর্তগুলো যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।সাধারণ জনগণ, পথচারী ও গাড়ি চালকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।  বর্ষার মৌসম শুরু হলেও সড়কের এই বেহাল দশার চিত্রটি প্রবল আকার ধারণ করতে থাকে। তখন মেরামতের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু গর্ত সৃষ্টি না হওয়া কিংবা ভারী বর্ষণের আগে কর্তৃপক্ষ সংস্কারের ব্যবস্থা নিলে এই দুরাবস্থার সৃষ্টি দেখা দিতোনা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,বৃষ্টি আর বৃষ্টি। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাসসহ ভারি যানবাহন। আতংকে থাকতে হয় অনেক পথচারী ও চালকদের। মহাসড়কের লোহাগাড়ার উপজেলা সদরের আমিরাবাদ, বটতলী, পুরাতন বিওসি, রাজঘাটা, পদুয়া, খালেকের দোকান, ঠাঁকুরদীঘি, আধুনগর খান হাট, চুনতি ডেপুটি বাজার অংশে অসংখ্য ছোট- বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের বার আউলিয়া দরগাহ পর থেকে পদুয়া বাজার পর্যন্ত অনেক বড় বড় গর্তে গাড়ি চলাচলে চালকদের রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছো। এতে করে  দুর্ঘটনাও বেড়েছে অনেক। ওই স্হানে অনেক গাড়ি চালানোর সময় গাড়ি ড্রাইভ করার সময় গাড়ি চাকা গর্তে ঢুকে নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। সড়কের বড় বড় গর্তের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে প্রতিনিয়ত।
আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবহন মালিকরা। বৃষ্টিতে গর্তগুলো পানি ও কাদায় পূর্ণ হয়ে থাকায় কাদাযুক্ত পানি দিয়ে যান চলাচলের সময় পানি ছিটকে পড়ে পথচারীদের জামা কাপড় নষ্ট হচ্ছে।ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা।

আবুল হাসেম নামে এক পথচারী বলেন, সড়কটি চাষ কারার উপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কের  বার আউলিয়া দরগাহ এলাকা হতে পদুয়া তেওয়ারীহাট পর্যন্ত একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়ক বিভাগের  কতৃপক্ষরা দেখেও না দেখার ভান ধরে বসে থাকে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কারের জোর দাবী জানাচ্ছি।

সড়কটি দিয়ে চালাচল করা বাসের চালক জসিম জানান, সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। গাড়ি চালতে খুব কষ্ট হয়। গাড়ির ও ক্ষতি হচ্ছে।

গাড়ির চালক মুহাম্মদ আবু তাহের জানান, মহাসড়কে সৃষ্ট এত বড় বড় গর্তের কারণে আমি গাড়ি চালানোর সময় রীতিমত হিমশিম খাচ্ছি। চরম আতংকে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে। গর্তের কারণে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার সময় গাড়ির পার্টস ভেঙ্গে গাড়ি নষ্টও হয়ে যাচ্ছে। তাই সড়কের গর্তগুলো দ্রুত সংস্কার করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

নিরাপদ সড়ক চাই(নিচসা)  লোহাগাড়া উপজেলার আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম সাগর বলেন, নিম্নমানের কাজের ফলে সড়কের এই অবস্থার সৃষ্টির কারণে  সড়কের  লোহাগাড়ার অংশে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। অচিরেই এগুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া না হলে লোহাগাড়ার মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হবে। সড়কের বড় বড় গর্তগুলো দ্রুত সংস্কার নেওয়া জরুরী বলে তিনি মনে করছেন।

এ ব্যাপারে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান,

সড়কের বড় বড় গর্তগুলা সংস্কারের জন্য আমাদের ঠিকাদার কাজ করছে। টানা বৃষ্টির ফলে কাজের ব্যাঘাত হচ্ছে। আশা করছি অচিরের কাজ  শেষ করা হবে বলেও তিনি জানান।

আরো পড়ুন