বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রকাশিত : ৩:০১ অপরাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রায়হান সিকদার,লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা নাছির মোহাম্মদ পাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের পুরো ভবনটি কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালাতে হচ্ছে। মেরামতের সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, বিগত ২০১৫ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক মুুহাম্মদ ফিজনূর রহমানের আন্তরিকতায় শিক্ষানুরাগী মুুহাম্মদ সাইফুল আলমসহ এলাকাবাসীর সহযোগীতা নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে নিরলসভাবে বিদ্যালয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, মুহাম্মদ সাইফুল আলম। বিদ্যালয়ের জন্য অনেক জায়গায়ও এলাকার মানুষ দানপত্র করে দিয়েছেন। প্রতিবছরে বিদ্যালয়ের পিএসসি পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪০জন।শিক্ষকের সংখ্যা ৪জন। গত কয়েকদিন পুর্বে রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় হয়। এতে বিদ্যালয়ের পুরো টিনের ভবনটি উড়ে যায়। ভবনটি কালবৈশাখীর ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে শ্রেনী কক্ষে ক্লাস চলার কোন সুযোগ নাই। যার ফলে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস চলাতে হচ্ছে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অনেক ব্যাঘাত ঘটছে।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী শহীদুল ইসলাম বলেন, কাল বৈশাখীর ঝড়ের কারণে আমাদের বিদ্যালয়ের পুরো টিনের ভবনটি গুড়িয়ে গেছে। শ্রেণিকক্ষের ভেতরেই খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে। আমরা অতি কষ্টে ক্লাস করছি। কতক্ষণ রোদ, আবার বৃষ্টি হলে স্কুল থেকে ভিজে বাড়ীতে চলে যেতে হয়।
আরেক শিক্ষার্থী নাছিমা বেগম বলে, খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। রোদ আর গরমে বসে থাকা যায় না। দ্রুত টিনের ছাউনিসহ ভবনটি মেরামত করলে আমাদের জন্য উপকৃত হবে।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মফিজুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে বিদ্যালয়টি কয়েকবার ঝড়ে একই অবস্থা হয়েছিল।, ‘টিনের ছাউনি দিয়ে ভবনটি হওয়ার কারণে বার বার এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়টি নতুন করে পাকা বিল্ডিং ব্যবস্হার জোর দাবী জানাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কিশোর চৌধুরী বলেন,ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। ভবনটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে খোলা আকাশের জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুুহাম্মদ সাইফুল আলম জানান,
২০১৫সালে তৎকালীন ইউএনও ফিজনূর রহমান স্যারের আন্তরিকতা ও এলাকাবাসীর সহযোগীতা নিয়ে বিদ্যালয়টি টিন দ্বারা ভবন নির্মাণ করা হয়। গেল কয়েকদিন পুর্বে কালবৈশাখীর ঝড়ে আমাদের বিদ্যালয়ের টিনের পুরো ভবনটি ভেঙ্গে গেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করাতে হচ্ছে। শিক্ষার মানে চরম ব্যাঘাত সৃষ্ঠি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ ও নতুন ভবনের জন্য মাননীয় এমপি মহোদয়ের ডিও লেটার দিয়ে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের পাঠাতে হয়েছে। বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ ও একটি ভবন পেলে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পাঠদান করতে অনেক বেশী উপকৃত হবে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুুহাম্মদ মোসলিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতি বছরে ভাল ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। গেল কয়েকদিন পুর্বের কালবৈশাখীর ঝড়ে পুরো টিনের ভবনটি গুড়িয়ে গেছে।খোলা আকাশের নিচে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান সত্যিই অনেক কষ্টদায়ক। আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করেছি।